ঈদে মহাসড়কের চাপ সামলাতে পাঁচ দিন জ্বালানি, পচনশীল ও গার্মেন্ট পণ্য বহনকারী ট্রাক ছাড়া পণ্যবাহী ভারী ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। যোগাযোগ, রেল ও নৌপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং পরিবহন মালিকরা বৈঠকে অংশ নেন। এছাড়া ঈদে রেলকর্মীদের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্তও সভায় জানানো হয়।
বৈঠকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ঈদের আগেই ঢাকার বিভিন্ন সড়কের দুরবস্থা তুলে ধরে তা মেরামতের ব্যাপারে প্রস্তাব দেয়া হয়। জবাবে ঢাকা সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং ওয়াসাকে ২০ তারিখের মধ্যে তাদের আওতাধীন সড়ক মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করতে ঢাকা সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়।
সভায় যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, ঈদের আগে তিন দিন ও পরে দুই দিন তৈরি পোশাক, জ্বালানি ও পচনশীল দ্রব্য ছাড়া অন্য কোনো পণ্যবাহী ভারী যানবাহন মহাসড়কে চলাচল করতে পারবে না। এছাড়া যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখতে রেল কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ পদের কর্মকর্তারাও ঈদে ছুটি কাটাতে পারবেন না।
সভায় যোগাযোগমন্ত্রী আরো বলেন, ঈদে প্রকৌশলীদের সড়কে থাকতে হবে। তাদের ছুটিও বন্ধ। তবে তারা পরিবারের সঙ্গে ঈদ করলেও রাস্তার সঙ্গেও তাদের থাকতে হবে। মহাসড়কে নসিমন, করিমন চলাচল করতে পারবে না। এখন থেকেই মহাসড়কে এসব পরিবহন নিষিদ্ধ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি আজ শনিবার সকালে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন, সমস্যা দেখবেন। যেখানে সমস্যা পাবেন, সেখানেই তাত্ক্ষণিক সমস্যা সমাধানের সিদ্ধান্ত জানাবেন। একই দিন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে আরেকটি দল ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক পরিদর্শনে যাবে।
সভায় পুলিশের ডিআইজি বজলুর রহমান বলেন, মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশকে রেড এলার্ট দিয়ে দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সভায় যোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ঈদ উপলক্ষে বাস টার্মিনাল ও সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধের সব পদক্ষেপ নেয়া হবে। মন্ত্রী ঘরে ফেরা মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে সড়ক পথে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, পকেটমার, মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও বাস মালিক শ্রমিক সমিতির নেতাদের প্রতি নির্দেশ দেন।
সভায় নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, স্থানীয় সরকার ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, বিশিষ্ট কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক শামসুল হকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।