এবারের দু'পর্বের ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ শাহ আলম শরীফ দু'পর্বের ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান সমপর্কে গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম সমপর্কে জানান, টঙ্গী ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক কার্যক্রম মনিটর ও যোগাযোগের জন্য একটি কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। ইজতেমা মাঠে প্রবেশের বিভিন্ন গেইট, বিশেষ করে হোন্ডা গেইট, বাটা গেইট, মন্নু গেইটসহ টঙ্গী হাসপাতালে অস্থায়ী মেডিক্যাল সেন্টার স্থাপন করা হবে। এছাড়া সিভিল সার্জন ঢাকা বিভাগ কর্তৃক বিশ্ব ইজতেমা মাঠের পশ্চিমদিকে দু'টি মেডিক্যাল সেন্টার স্থাপন করা হবে। ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে তিন শিফট চালু রাখার জন্য প্রতি শিফটে প্রতি সেন্টারে ২ জন ডাক্তার, ২ জন ফার্মাসিস্ট এবং ১ জন সহায়ক কর্মচারী দায়িত্ব পালন করবেন। মেডিক্যাল সেন্টারগুলোর প্রত্যেকটির সাথে একটি করে অ্যাম্বুলেন্স থাকবে। এসব সেন্টারে সহজে দৃষ্টিগোচরের জন্য ব্যানারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। টঙ্গী হাসপাতালে ১২টি অ্যাম্বুলেন্স স্ট্যান্ডবাই রাখার ব্যবস্থা করা হবে, যাতে পরবর্তী প্রয়োজনে উচ্চতর হাসপাতালে রোগী রেফার্ডে ব্যবহূত হবে। টঙ্গী হাসপাতালে একটি হূদরোগ ইউনিট দৈনিক তিন শিফটে এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল হতে আগত বার্ন ইউনিট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া এ্যাজমা রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকাস্থ জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল হতে আগত একটি ইউনিট টঙ্গী হাসপাতালে চিকিত্সা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসাপাতাল ও পুনবার্সন প্রতিষ্ঠান হতে আগত একটি মেডিক্যাল টিমও দায়িত্ব পালন করবে। ৫০ শয্যা হাসপাতাল টঙ্গীতে সার্জারি ইউনিট জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করবে। মেডিক্যাল ইউনিটের মাধ্যমে নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইজতেমা চলাকালীন টঙ্গী হাসপাতালে ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে ও আরটি কর্নার চালু রাখা হবে। অপারেশন থিয়েটারসহ হাসপাতালের প্যাথলজি, এক্সরে ও দন্ত বিভাগ প্রয়োজনীয় দায়িত্ব পালন করবে এবং আন্তঃবিভাগে ভর্তিকৃত রোগীদেরকে কনসালটেন্সি সেবা, ওষুধপত্র, পথ্য ও নার্সিং সেবা দেয়া হবে। স্যানিটারি ইন্সপেক্টর দ্বারা পরিচালিত ১২টি টিম মাঠের আশপাশের হোটেল, রেস্তোরাঁয় নিরাপদ খাদ্য ও পানীয় এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সার্বক্ষণিক কর্মরত থাকবে। সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্লিচিং পাউডার, পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি ইত্যাদি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে। স্বাস্থ্যসচেতনতা ও স্বাস্থ্যশিক্ষার জন্য লিফলেট, পোস্টার, মেগাফোনের ব্যবহার করা হবে। টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার আশপাশের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বেসরকারি ক্লিনিকগুলোকে রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনী চিকিত্সা প্রদানের জন্য দিবা-রাত্র খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইজতেমা উপলক্ষে স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।