প্লাস্টিকের তৈরি পণ্য নিয়ে প্রতি বছর মেলায় আসে ডজনখানেক স্টল ও প্যাভিলিয়ন। আসে নামি-দামি কোম্পানিও। এবারের মেলায়ও এসেছে প্লাস্টিকের পণ্য। মেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলো। বড় বড় এসব প্যাভিলিয়ন সহজেই দর্শনার্থীদের চোখে পড়ে। এসব স্টল ও প্যাভিলিয়নে মেলা শুরুর পর মাস জুড়েই থাকে কেনাবেচার ব্যস্ততা। দৈনদিন জীবনের পছন্দের পণ্য কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা। পণ্যগুলো সচরাচর বাইরে পাওয়া গেলেও মেলা থেকে কেনার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন অনেকে। কারণ মেলায় পণ্যের মূল্য ছাড়ের বিষয় রয়েছে। এছাড়া নতুন মডেলের অনেক পণ্যের বাজারজাত মেলা থেকেই শুরু হয়।
মেলা শুরুর পর ১৭ বছর ধরে পণ্যের প্রচার প্রসার এবং বিক্রিকে লক্ষ্য করে মেলায় এসেছে আরএফএল প্লাস্টিক। এবারের মেলায় তাদের দুটি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। গতকাল এ প্যাভিলিয়নে গিয়ে বিক্রেতাদের ব্যস্ততার চিত্র দেখা যায়। প্যাভিলিয়নের বাইরে থেকে শোনা যায় ক্রেতা ও বিক্রেতার কেনাবেচার কোলাহল। এবারের মেলায় আরএফএল নিয়ে এসেছে নতুন মডেলের নতুন কিছু পণ্য। সচরাচর পণ্য তো থাকছেই। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে বেবী ওয়াটার বোটল, কিডো কমফোর্ট চেয়ার, সুপার প্যাডেল বিন, সিঙ্গেল ওয়ার ড্রোব, প্লাস্টিকের আলমারি, সোফা সেট, চেয়ার, ডাইনিং টেবিল, ম্যালামেইনের জিনিসপত্র ইত্যাদি। এছাড়া আরএফএলের অন্য প্যাভিলিয়নটিতে রয়েছে ভিশন এলইডি টিভি, ফার্নিচার এবং ইলেকট্রিকের নানা পণ্য।
এসব পণ্যের মধ্যে সোফাসেটের দাম ১০ হাজার ৫০০ টাকা, ডাইনিং টেবিল ৭ হাজার ৫০০ টাকা, সিঙ্গেল ওয়ার ড্রোব ৮ হাজার ২০০ টাকা। এছাড়া আরএফএল অন্য প্যাভিলিয়নের ৮২ ইঞ্চি ভিশন টিভির দাম ৬৫ হাজার টাকা, সোফাসেট ৮৮ হাজার ৩০০ টাকা, রকিং চেয়ার ৫ হাজার ১০০ টাকা। আরএফএল থেকে একটি নির্দিষ্ট টাকার পণ্য ক্রয় করলে ক্রেতারা পাচ্ছেন মিস্টার নুডুলস।
প্যাভিলিয়ন-১ এর ইনচার্জ মো. সাইফুল্লাহ জানান, আশানুরূপ বেচা-কেনা হচ্ছে। এ বছর মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই সন্তোষজনক। তাই এবারে আর এফ এল দুটি প্যাভিলিয়ন নিয়ে মেলায় এসেছে। দিন বাড়লে বেচা-কেনা আরো বেড়ে যাবে বলে জানান, প্যাভিলিয়ন-২ এর ইনচার্জ জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ।
এছাড়াও প্লাস্টিকের পণ্য নিয়ে এসেছে বেঙ্গল এবং হামকো। বেঙ্গলের প্যাভিলিয়নে দর্শনার্থী ক্রেতার সংখ্যা চোখে পড়ার মত থাকলেও সন্তোষ প্রকাশ করতে পারলেন না প্যাভিলিয়নের ইনচার্জ সানজিদ ইব্রাহিম। তিনি জানান, মেলার আয়োজন তেমন ভালো হয়নি। মেলা পিছিয়ে শুরু হওয়া এবং প্রবেশ মূল্য বৃদ্ধি সব কিছু প্রভাব ফেলেছে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ে। তবে সামনের সপ্তাহে বেচা-বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছি। এ প্যাভিলিয়নে দেয়া হচ্ছে ১০ শতাংশ ছাড়।
প্যাভিলিয়নে নতুন পণ্যের মধ্যে রয়েছে অফিস ফার্নিচার, রিভলবিং চেয়ার, স্মিম জগ, প্রিন্ট করা টেবিল। এর মধ্যে রিভলবিং চেয়ারের দাম ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। টেবিলের দাম ৪২ হাজার টাকা।
মেলার প্রধান গেট থেকে বের হতে হতে কথা হয় দম্পত্তি সারমিন সুলতানার এবং আকতার হোসেনের সাথে। আকতার হোসেনের হাতে রয়েছে প্লাস্টিকের পণ্য। তারা জানান, প্রতি বছরই মেলা থেকে প্লাস্টিকের গৃহস্থালির পণ্য কেনা হয়। এবার প্রথম এসে অল্প কিছু কিনলাম। সামনের কোন একদিন এসে পছন্দের জিনিসগুলো কিনে নেব।