কোন গ্রুপে কারা ফেভারিট, সবচেয়ে সহজ গ্রুপ কোনটা, কোন গ্রুপ এবার হয়ে উঠবে মৃত্যুকূপ; বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত চলবে এসব নিয়েই জল্পনা-কল্পনা।
সেই চায়ের কাপে ঝড় তোলা আলোচনায় রসদ জোগাতে আটটি গ্রুপের হিসাব ও বাস্তবতা ফিরে দেখেছেন— দেবব্রত মুখোপাধ্যায়
গ্রুপ-এ
ব্রাজিল, ক্রোয়েশিয়া, মেক্সিকো, ক্যামেরুন
দ্বিতীয় হওয়ার লড়াই
এই গ্রুপের তো বটেই, এবারের ফিফা বিশ্বকাপেরই টপ ফেভারিট দলটি এই গ্রুপে আছে। ব্রাজিল 'এ' গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলে সেটাকেই ফুটবল ইতিহাসের ভয়াবহতম দুর্ঘটনা বলে মেনে নিতে হবে। ফলে এখানে আলোচনাটা গ্রুপের দ্বিতীয় দল কারা হবে, তা নিয়ে। এই পদটির জন্য অবশ্য উন্মুক্ত লড়াই-ই হওয়ার কথা। ক্যামেরুন, মেক্সিকো বা ক্রোয়েশিয়ার কেউ দ্বিতীয় হওয়ার জন্য কম ফেভারিট নয়। ব্রাজিলের এই গ্রুপে শ্রেষ্ঠত্ব আলোচনার অবকাশ খুব একটা রাখে না। তারপরও আলোচনার জন্য বলে দেয়া যায়, বাকি তিন দলের বিপক্ষে সাম্প্রতিক বিশ্বকাপগুলোতেই লড়তে হয়েছে ব্রাজিলকে এবং অনুমেয়ভাবে প্রতিটি ম্যাচেই ব্রাজিল প্রতাপের সঙ্গে জিতেছে। ২০০৬ সালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচেই কাকার গোলে জয় পেয়েছিল তারা। ১৯৯৪ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে ক্যামেরুনকে রোমারিও, বেবেতো ও সান্তোসের গোলে জিতেছিল ব্রাজিল। আর মেক্সিকোর বিপক্ষে এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপে মুখোমুখি হবে সর্বকালের সফলতম দলটি। আগের তিন সাক্ষাতে ব্রাজিল মেক্সিকোর জালে ১১টি গোল দেয়ার বিনিময়ে কখনো গোল হজম করেনি। গ্রুপের বাকি তিন দলের মধ্যে মেক্সিকো ও ক্রোয়েশিয়াকে বিশ্বকাপে আসতে একেবারে প্লে-অফ খেলে আসতে হয়েছে; শেষ মুহূর্তে দু'দলই কোচ বদলেছে। একটু ভালো অবস্থায় আছে বরং স্যামুয়েল ইতোর ক্যামেরুন।
নজর রাখুন
ব্রাজিল: নেইমার, ফ্রেড, থিয়াগো সিলভা
মেক্সিকো: পেরালতা, রাউল জিমিনেজ
ক্যামেরুন: স্যামুয়েল ইতো, অ্যালেক্স সং
ক্রোয়েশিয়া: মানদজুকিচ, লুকা মরদিচ
জানেন তো?
১৯৮২ সাল থেকে অদ্যাবধি ব্রাজিলকে দ্বিতীয় পর্বের টিকিট পেতে কখনোই গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়নি। ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে জিতে দ্বিতীয় পর্বে গিয়েছিল তারা।
০০০০
গ্রুপ-বি
স্পেন, নেদারল্যান্ডস, চিলি, অস্ট্রেলিয়া
দক্ষিণ আফ্রিকার
স্মৃতিচারণ!
গত বিশ্বকাপ ঠিক যে ম্যাচ দিয়ে শেষ হয়েছিল, সেই ম্যাচের পুনর্মঞ্চায়ন দিয়ে শুরু হবে 'বি' গ্রুপের খেলা। ২০১০ বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট স্পেন ও নেদারল্যান্ডস র্যাংকিং ভাগ্যগুণে গ্রুপ পর্বেই মুখোমুখি হয়ে যাচ্ছে এবার। আর সাধারণ হিসাব বলছে, এই ম্যাচের ভেতর দিয়ে আসলে গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার-আপ নির্ধারিত হয়ে যাবে। বাকি থাকা চিলি ও অস্ট্রেলিয়া ভালো লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যত তারা 'আউটসাইডার'। গত বিশ্বকাপে স্পেনের সঙ্গে একই গ্রুপে থাকা চিলি অবশ্য বাছাইপর্বে ভালো খেলার স্মৃতি নিয়েই এসেছে এবার। অস্ট্রেলিয়াকে এবার আসলেই প্রমাণ করতে হবে, তারা এই বিশ্বসেরাদের ভয় দেখানোর ক্ষমতা রাখে।
নজর রাখুন
স্পেন: জাভি, ইনিয়েস্তা, জাবি অলোনসো
নেদারল্যান্ডস: আরিয়েন রোবেন, রবিন ফন পার্সি
চিলি: ভিদাল, অ্যালেক্সি সানচেজ
অস্ট্রেলিয়া: টিম কাহিল, লুকাস নেইল
জানেন তো?
২০১০ সালে অষ্টম দেশ হিসেবে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে স্পেন গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছিল!
০০০০
গ্রুপ-সি
কলম্বিয়া, গ্রিস, আইভরি কোস্ট, জাপান
চার মহাদেশের উন্মুক্ত লড়াই
বলা হচ্ছে এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে উন্মুক্ত ও মজার গ্রুপ এটি। লাতিন আমেরিকার কলম্বিয়া, ইউরোপের গ্রিস, আফ্রিকার আইভরি কোস্ট ও এশিয়ার জাপান; কাউকে আপনি কারো চেয়ে এগিয়ে রেখে খেলা দেখা শুরু করতে পারেন না। চার দলের কেউ বিশ্বকাপ জিততে যাচ্ছে না, তবে নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে দারুণ মজা যে উপহার দেবে, সন্দেহ নেই। চার দেশ শুধু চার মহদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে তাই না; নিজ নিজ মহাদেশের ফুটবল স্টাইলও ধারণ করে এই চারটি দল। রেকর্ডেও কাউকে আলাদা করার উপায় নেই—কলম্বিয়া র্যাংকিংয়ে সবার আগে, জাপান এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন, আইভরি কোস্ট দ্রগবার দল, গ্রিসের ইউরো রূপকথা আছে!
নজর রাখুন
কলম্বিয়া:জেমস রদ্রিগেজ
গ্রিস: জর্জিয়াস সামারাস, মিত্রোগোলু
আইভরি কোস্ট: ইয়াইয়া তোরে, দিদিয়ের দ্রগবা
জাপান: কেউসুকে হোন্ডা, সিনজি কাগাওয়া
জানেন তো?
এই চার দলের কেউ এর আগে কখনো দ্বিতীয় পর্ব পার করতে পারেনি। তাও কলম্বিয়া ও জাপানের দ্বিতীয় পর্বে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে।
০০০০
গ্রুপ-ডি
উরুগুয়ে, কোস্টারিকা, ইংল্যান্ড, ইতালি
মৃত্যুকূপে তিন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন
বিশ্বকাপে এ এক অবধারিত ব্যাপার—একটি গ্রুপ অব ডেথ থাকবেই! তবে এবারের মতো একেবারে কার্যকর মৃত্যুকূপ খুব একটা দেখা যায় না। উরুগুয়ে, ইংল্যান্ড ও ইতালি; তিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের অন্তত একজনকে দ্বিতীয় পর্ব থেকেই দর্শক হয়ে থাকতে হবে। ইংলিশরা দীর্ঘকাল কিছু জিততে পারে না বলে ১৯৬৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ফেভারিট তালিকা থেকে বাদ দেয়ার উপায় নেই। আর ইতালি ২০০৬ সালের চ্যাম্পিয়ন এবং উরুগুয়ে সেই প্রথম বিশ্বকাপের ইতিহাস বাদ দিলে শুধু গত বিশ্বকাপের দাপটের জন্যই মাথায় তুলে রাখার মতো দল। বাকি থাকা কোস্টারিকাকে বাইরের দল ভাবছেন? ভুল। টুর্নামেন্টে আসার আগে সম্ভবত সবচেয়ে ধারাবাহিক ফর্মের দলগুলোর একটি তারা। ফলে দুটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল এই গ্রুপের খাড়ায় পড়ে গেলেও অবাক হবেন না!
নজর রাখুন
উরুগুয়ে: লুই সুয়ারেজ, এডিনসন কাভানি, ডিয়েগো ফোরলান
কোস্টারিকা: জোয়েল ক্যাম্পবেল, ব্রায়ান রুইজ
ইংল্যান্ড: ওয়েন রুনি, ড্যানিয়েল স্টারিজ, জ্যাক উইলশিয়ার
জানেন তো?
১৯৯০ সালের অভিষেক বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে সুইডেনের বিপক্ষে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচ বের করে এনেছিল শেষ মুহূর্তে কোস্টারিকা এবং নিশ্চিত করেছিল দ্বিতীয়পর্ব।
০০০০০
গ্রুপ-ই
সুইজারল্যান্ড, ইকুয়েডর, ফ্রান্স, হন্ডুরাস
ফরাসি-সুইসদের সহজ যাত্রা
ইকুয়েডর ও হন্ডুরাসকে এই গ্রুপে সর্বার্থেই বহিরাগত বলে মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই। ইকুয়েডর লাতিন আমেরিকা থেকে একেবারে খোঁড়াতে খোঁড়াতে বিশ্বকাপে এসেছে। হন্ডুরাসের আগমনটা ভালো হলেও সর্বোচ্চ পর্যায়ে এখনও ঠিক নিজেদের প্রমাণ করে উঠতে পারছে না তারা। উল্টোদিকে এই গ্রুপের র্যাংকিং ও ফর্ম অনুযায়ী সেরা দল সুইজারল্যান্ড। বাছাইপর্বে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ৭ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপে এসেছে তারা। তবে এতো কিছুর পরও গ্রুপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দল ফ্রান্স। তারকাখচিত এই দলটির সামনে গত বিশ্বকাপের ভয়াবহ ফলকে পেছনে ফেলে এগোনোর দারুণ সুযোগ এবার। যদিও ফ্রান্সের কোচ নানাভাবে নিজেদের 'দুর্বল' বলে প্রমাণের চেষ্টা করছেন; কিন্তু কার্যত এই দলটিকেও আপনার বিবেচনায় রাখতে হবে।
নজর রাখুন
সুইজারল্যান্ড: গ্রানিট হাক্সাকা, জেরডান শাকুরি
ফ্রান্স: হুগো লরিস, প্যাট্রিক এভরা, করিম বেনজেমা
ইকুয়েডর: ওয়াল্টার আয়োভি, অ্যান্টনিও ভ্যালেন্সিয়া
হন্ডুরাস: উইলসন প্যালাসিওস, রজার এসপিনোজা
জানেন তো?
২০০৮ ইউরো থেকে শুরু করে ২০১০ বিশ্বকাপ হয়ে ২০১২ ইউরো পর্যন্ত স্পেনের যে অপ্রতিরোধ্য যাত্রা, সে পথে তাদের একমাত্র পরাজয়টি উপহার দিয়েছিল সুইজারল্যান্ড!
০০০০০
গ্রুপ-এফ
আর্জেন্টিনা, নাইজেরিয়া, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, ইরান
পুরোনো শত্রু ও অতিথিরা
এই গ্রুপের 'হাইলাইটস' নিশ্চয়ই আর্জেন্টিনা। ১৯৯৩ সালের পর থেকে আর কোনো ধরনের মেজর ট্রফি না জিতলেও দলটির নাম থেকে 'ফেভারিট' শব্দটা কখনোই মুছে যায় না। এবার বিশ্বের ভয়ঙ্করতম আক্রমণভাগ, ভারসাম্যপূর্ণ মিডফিল্ড এবং লাতিন আমেরিকার কন্ডিশন মিলিয়ে ব্রাজিলের পরই বিশেষজ্ঞরা আর্জেন্টিনাকে সবচেয়ে ফেভারিট বলছেন। আর খুব স্বাভাবিকভাবেই গ্রুপ থেকে আর্জেন্টিনার সঙ্গী হওয়ার কথা নাইজেরিয়ার। আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়া আন্তর্জাতিক ফুটবলে তো বটেই, বড় আসরে, এমনকি বিশ্বকাপেও খুবই পরিচিত প্রতিপক্ষ। বর্তমান আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়া দলও পরস্পরের সম্পর্কে খুব ভালো করে জানে। নাইজেরিয়ান অধিনায়ক জন ওবি মিকেল এই ঢাকাতেই বলেছিলেন, 'মেসির বিপক্ষে খেলাটা আমার মুখস্থ হয়ে গেছে।' লিওনেল মেসি ও ওবি মিকেল ২০০৫ যুব বিশ্বকাপের ফাইনাল, ২০০৮ অলিম্পিক ফাইনাল এবং গত বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বেও পরস্পরের বিপক্ষে খেলেছেন। এই দুই চরম পরিচিত প্রতিপক্ষের পাশে ইরান এবং বসনিয়া-হার্জেগোভিনা নিজেদের অতিথিই ভাবতে পারে। বসনিয়া-হার্জেগোভিনার বিশ্বকাপ অভিষেক হচ্ছে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। আর ইরান এর আগে এই প্রতিপক্ষ কারো বিপক্ষে বড় আসরে কখনো খেলেনি।
নজর রাখুন
আর্জেন্টিনা: লিওনেল মেসি, সার্জিও আগুয়েরো, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া
নাইজেরিয়া: জন ওবি মিকেল, ভিক্টর মোজেস
বসনিয়া-হার্জেগোভিনা: এডিন জেকো, ভেদাদ ইবিসেভিচ
ইরান: রেজা গুচাননেজহাদ, করিম আনসারি
জানেন তো?
১৯৯৫ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে পা রাখা বসনিয়া-হার্জেগোভিনা গত বিশ্বকাপেই খেলার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু প্লে-অফ ম্যাচে পর্তুগালের বিপক্ষে হেরে সে স্বপ্ন অধরা থেকে গিয়েছিল।
০০০০০
গ্রুপ-জি
জার্মানি, পর্তুগাল, ঘানা, যুক্তরাষ্ট্র
জার্মানি এবং বাকিরা
এই শিরোনামে পর্তুগীজরা রাগ করতে পারেন। তবে ঘানা ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বকাপ রেকর্ড বলে তারা এই জায়গাটায় পর্তুগালের চেয়ে খুব একটা পিছিয়ে নেই। গ্রুপের ফেভারিট তো বটেই, বিশ্বকাপেরও অন্যতম ফেভারিট সর্বকালের অন্যতম ধারাবাহিক ফুটবল দল জার্মানি। সেমি-ফাইনালের নিচে এই দলটির আটকে যাওয়া যে কোনো টূর্নামেন্টেই অঘটন; শিরোপাও হাতে তোলার অভ্যাসটা নিয়মিত। ঘানা ও যুক্তরাষ্ট্র দৃশ্যত আউটসাইডার মনে হলেও ঘানা গতবছরও কোয়ার্টার ফাইনাল অবদি পৌঁছেছিল। যুক্তরাষ্ট্র এমনিতেই প্রথম পর্বের বড় ঘোড়; তার ওপর ই্য়ুর্গের ক্লিন্সমান যোগ হয়েছেন কোচ হিসেবে। পর্তুগালের সমস্যাটা হল সোনালী প্রজন্ম পার করে এসে এই দলটি এখন অনেকটাই রোনালদোর এক পায়ের ঘোড়া হয়ে গেছে। যদিও গত ইউরোতে তারা বেশ চমকে দিয়েছিল। তারপরও বেশি কিছু আশা করা কঠিন।
নজর রাখুন
পর্তুগাল: ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো
জার্মানি: মেসুত ওজিল
যুক্তরাষ্ট্র: ক্লিন্ট ডিম্পসে
ঘানা: কেভিন-প্রিন্স বোয়াটেং
জানেন তো?
গত চারটি মেজর টূর্নামেন্টের তিনটিতেই নকআউট পবে জার্মানির কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে পর্তুগালকে। মেসি ও রোনালদো; দু'জনেরই নেমেসিস জার্মানরা!
০০০০
গ্রুপ-এইচ
বেলজিয়াম, আলজেরিয়া, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া
বেলজিয়ামের অপেক্ষায়
বলা হচ্ছে, এবার বিশ্বকাপের আরও একটি উন্মুক্ত গ্রুপ এটি। তবে র্যাংকিংয়ের বিচারে আলজেরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ে এগিয়ে আছে বেলজিয়াম ও রাশিয়া। কিন্তু এসব কাগুজে কথা ভুলে যান। এবার এই গ্রুপটার আসল পরিচয়, বেলজিয়ামের গ্রুপ। এর আগেও ১১টি বিশ্বকাপ খেলা বেলজিয়ামকে অতি উত্সাহী কেউ কেউ শিরোপার পথেও ফেভারিটদের তালিকায় রাখছেন। সেটা সত্যি না হলেও একঝাঁক তারকা দিয়ে সাজানো দলটি যে রোমাঞ্চের পশরা নিয়ে আসবে, সন্দেহ নেই।
নজর রাখুন
বেলজিয়াম: এডেন হ্যাজার্ড, রোমেলু
লুকাকু, কোয়ের্তে
আলজেরিয়ার: সাফির তাইদের
কোরিয়া: পার্ক চু-ইয়ং
রাশিয়া: আলেক্সান্ডার কোক্রিন
জানেন তো?
রাশিয়ার কোচ ফ্যাবিও ক্যাপেলো ফুটবলার হিসেবে ৩২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন জাতীয় দলের হয়ে। এসি মিলান, রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাসের মতো ক্লাব এবং ইংল্যান্ড, রাশিয়ার মতো জাতীয় দল সামলেছেন। কিন্তু কখনোই নিজের জাতীয় দলের কোচিং করাতে পারেননি!