পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মানুষকে শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ। গতকাল শনিবার পৃথক বাণীতে তারা এই শুভেচ্ছা জানান। ঈদুল ফিতর সবার জন্য যেন আনন্দপূর্ণ ও কল্যাণকর হয়, তারা সেই কামনাও করেন।
এছাড়াও জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ, জাতীয় পার্টি-জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা পৃথক বাণীতে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতির বাণী
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার শুভেচ্ছা বাণীতে বলেন, মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন। এদিন ধনী-গরিব, আশরাফ-আতরাফ নির্বিশেষে সবাই এক কাতারে শামিল হন এবং ঈদের আনন্দকে ভাগভাগি করে নেন। শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যময় সমাজ গঠনে ঈদুল ফিতরের আবেদন তাই চিরন্তন। ঈদুল ফিতরের শিক্ষা আমাদেরকে সুন্দর ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে উদ্বুদ্ধ করুক- এ প্রত্যাশা করি।
প্রধানমন্ত্রীর বাণী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার শুভেচ্ছা বাণীতে বলেন, মুসলিম জাহানের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমি দেশবাসী ও বিশ্বের সকল মুসলমানকে জানাই ঈদ মোবারক। ঈদ শান্তি, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের অনুপম শিক্ষা দেয়। সাম্য, মৈত্রী ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করে সকল মানুষকে। ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে ঈদুল ফিতরের শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে আমি সকলের প্রতি আহ্বান জানাই। ঈদ ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলের জীবনে আনন্দের বার্তা বয়ে নিয়ে আসুক, এই কামনা করছি। পবিত্র এদিনে আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মাহর উত্তরোত্তর উন্নতি, সমৃদ্ধি ও অব্যাহত শান্তি কামনা করছি।
বিরোধী দলী নেতার শুভেচ্ছা
বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এক শুভেচ্ছা বাণীতে বলেন, দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পরে পবিত্র ঈদ ধনী-গরিব ভেদাভেদ ভুলে এক কাতারে শামিল করে দেয়ার পাশাপাশি হিংসা-বিদ্বেষ ও অহংকারসহ সব অন্যায় পাপাচার মুছে দিয়ে নতুন করে সুখী জীবন-যাপন শুরু করার তাগিদ এনে দেয়। ঈদ আনন্দ উদযাপনের পাশাপাশি মানবজাতির মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বোধ, সামাজিক সম্প্রীতি, সাম্যচেতনা এবং মহামিলনের বার্তা নিয়ে আসবে বিশ্বজনের দ্বারপ্রান্তে।
এদিকে, এক বাণীতে দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলমানদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জাপা চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এএইচএম এরশাদ। জাতীয় পার্টি-জেপি'র চেয়ারম্যান, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে বিশেষ করে মুসলমানদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে এক বাণীতে বলেছেন, রমজান মাসের সিয়াম সাধনা আমাদের আত্মসংযমের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি অর্জনের শিক্ষা দেয়। রোজা পালনের মাধ্যমে মূলত আমরা কেবল মাত্র ধর্মীয় কর্তব্যই পালন করি না, মূলত এর মধ্য দিয়ে মুসলিম জনগোষ্ঠী লাভ করে আত্ম সংশোধনের অনন্য সুযোগ। পবিত্র ঈদুল ফিতর আমাদের কাছে নিয়ে আসে আনন্দ ও খুশির বার্তা। এই আনন্দ আমাদেরকে সকলের সঙ্গে, বিশেষ করে দেশের গরিব জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে। তবেই ঈদুল ফিতর উদযাপনে প্রকৃত তাৎপর্য আমরা উপলদ্বি করতে পারব। জেপি নেতৃদ্বয় বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে গাজায় যে মজলুম মুসলিম জনগোষ্ঠী রয়েছে তাদের প্রতি আন্তরিক সহানুভূতি জানান। এছাড়াও আলাদা বাণীতে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন- সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, এলডিপি সভাপতি ড. কর্নেল অলি আহমদ (অব.) ও মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ও মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা। এছাড়া শুভেচ্ছা জানিয়েছে- আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-ভাসানী), বাংলাদেশ প্রগেসিভ পার্টি, কৃষক শ্রমিক পার্টি, জাকের পার্টি ও অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।