ক্যামেরনের বক্তব্য নিয়ে মিথ্যাচার সরকারের অস্থিরতার বহিঃপ্রকাশ
----------------বিএনপি
ইত্তেফাক রিপোর্ট
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের বক্তব্য নিয়ে বাংলাদেশ সরকার মিথ্যাচার করেছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, এর আগে জাতিসংঘের মহাসচিবের বক্তব্য নিয়েও মিথ্যাচার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের এই অবস্থান তুলে ধরে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী বলেছেন, বিদেশি রাষ্ট্র ও সংগঠনের বক্তব্য নিয়ে এ ধরনের মিথ্যাচার সরকারের মধ্যকার অস্থিরতার বহিঃপ্রকাশ।
সমপ্রতি গার্ল সামিটে যোগ দিতে যুক্তরাজ্য যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের বিষয়ে ঢাকায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অতীত হয়ে গেছে। তারা যে মিথ্যা বলেছেন, তা প্রমাণিত হয়ে গেছে। এই বৈঠকের বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে এ ধরনের কোনো বক্তব্য নেই। বরং ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বন্ধুপ্রতীম দেশের ক্ষেত্রে এভাবে মিথ্যাচার করলে কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটি শিষ্টাচার-বহির্ভূত। এ ধরনের মিথ্যাচারের ফলে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সাংবাদিক শফিক রেহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তুমুল যুদ্ধের পদধ্বনি
শোনা যাবে :রিজভী
এদিকে, গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আহ্বান না মানলে দেশে তুমুল যুদ্ধের পদধ্বনি শোনা যাবে। আলোচনার আহ্বান না মেনে সারাদেশে কবরের শান্তি নামিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভালো থাকতে পারবেন না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হত্যা ও খুনের রাজনীতি করে দেশের মানুষকে কবরের শান্তি দিতে চান। কিন্তু আমি তাকে বলতে চাই, শান্তিপূর্ণ ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার সাধারণ নির্বাচনের আহ্বানকে অগ্রাহ্য করবেন না। এতে দেশে তুমুল যুদ্ধেরই পদধ্বনি শোনা যাবে। তাতে কবরের যুদ্ধের চেয়ে দেশে আরো বেশি ভয়ঙ্কর যুদ্ধ শুরু হবে। 'বিএনপি খুনির দল, এদের সঙ্গে কিসের সংলাপ'- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট দল। গণতন্ত্রে সংলাপ ও আলোচনার যে বিষয় আছে এটা তারা কখনই মানেন না।
দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যে অস্ত্র আছে তা আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির নেতারা কিনে দেয়নি, জনগণের টাকায় কেনা। কিন্তু এই অস্ত্র দিয়ে জনগণের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে তারা। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।