ঈদের আনন্দ নেই শাহপরী দ্বীপের ৪০ হাজার মানুষের ঘরে
আব্দুর রহমান, টেকনাফ (কক্সবাজার) সংবাদদাতা
বেড়িবাঁধ ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে টেকনাফের শাহপরী দ্বীপের ৪০ হাজার মানুষের। তাদের মাঝে নেই ঈদের আনন্দ। আর মাত্র দুইদিন পর ঈদ-উল-ফিতর। ঈদের সেই আনন্দের জোয়ারে ভাসছে গোটা দেশ। কিন্তু শাহপরী দ্বীপের ৪০ হাজার মানুষগুলোর সেই আনন্দ নেই। বরং বাঁধ ভাঙনের কারণে দ্বীপের বহু বাসিন্দা অন্যত্র আশ্রয় নিতে চলে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরী দ্বীপ মাঝের পাড়া, ডাঙ্গর পাড়া, পশ্চিম-উত্তর পাড়া, মগের ডেইর, ক্যাম্প পাড়া, পশ্চিম জালিয়া পাড়া, মাঝের ডেইল, পশ্চিম পাড়া, ঘোলা পাড়া, হারিয়াখালী, কচুবনিয়া, লাপার গুনা ও বিজিবির ক্যাম্প এলাকাসহ দ্বীপের প্রায় ৫ শতাধিক বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে এবং ৪০ হাজার বাসিন্দা আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
শাহপরী দ্বীপ-টেকনাফ একমাত্র সড়ক ভেঙে যাওয়ায় জোয়ার ভাটার উপর নির্ভর করে নৌকায় যাতায়াত করতে হয়। তাছাড়া শাহপরী দ্বীপ থেকে টেকনাফে কেনাকাটা করতে গেলে ওইখানে একদিন থাকতে হয়। গত দুই বছর ধরে এই দ্বীপের ৪০ হাজার মানুষের এ দুর্দশা। প্রতি বছর সরকার বাঁধের জন্য কোটি কোটি বরাদ্দ দিলেও কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না।
ওই এলাকার লবণ চাষী মো. আলী জানান, গত দুই বছর গিলেছে বিঘার পর বিঘা পাট ক্ষেত, আবাদি জমি, গাছপালা। ভাঙনের শিকার এসব মানুষকে সহযোগিতা তো দূরের কথা সান্ত্বনা দেবার মতও কেউ নেই। বার বার সরকার ও জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে ভাঙন ঠেকানোর আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এখন পর্যন্ত কষ্টের দিনে আমাদের পাশে কেউই দাঁড়ায়নি। তিনি আরো জানান, গত দুই বছর ধরে বাঁধ ভাঙনের কারণে প্রায় ১৫ হাজার লবণ চাষী বেকার হয়ে পড়েছে। তার তাদের পরিবারের মানবেতর জীবন-যাপন করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হামিদুর রহমান জানান, এই দ্বীপের লোকজনের মাঝে ঈদের আনন্দের দেখা নেই । তাদের মাঝে রয়েছে আতংক।