আমাদের সম্পর্কগুলো সবসময় মানিয়ে চলা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে নতুন সম্পর্কের ক্ষেত্রে সন্তানদের সমস্যাটা বেশি হয়। তারা নতুন কিছু সহজে মেনে নিতে অথবা সেখানে মানিয়ে চলতে পারে না। হয়তো কারও জীবনে দাম্পত্য সঙ্গীর মৃত্যু বা বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটতেই পারে। পরবর্তীকালে তার জীবনে যদি নতুন কোনো সঙ্গী অথবা সঙ্গিনী এসে পড়ে তখন একটি জটিল সমস্যা দেখা দেয়। তার সন্তান এ বিষয়টিকে সহজভাবে মেনে না নিতে পারে না। এই সংকট কাটানোর কিছু উপায় নিয়ে জানাচ্ছেন প্রাঞ্জল সেলিম
দ্বিতীয় বিয়ে এবং নতুন সঙ্গী কিংবা আগের পক্ষের সন্তানের বোঝাপড়া নিয়ে চিন্তিত থাকেন অনেক মা-ই। কিন্তু ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নতুন সম্পর্ক শুরু করলে সমস্যা হওয়ার সুযোগই থাকে না।
নতুন ভাবনা
অনেক সময় সহানুভূতির বশবর্তী হয়ে অনেকে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে তা থেকে বের হয়ে আসতে পারেন না। কিন্তু এই সহানুভূতি কখনো মজবুত সম্পর্কের ভিত্তি হয়ে উঠতে পারে না। আর তাই খেয়াল রাখতে হবে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভালোবাসা ও পারস্পরিক বিশ্বাসের ভিত বিষয়ে।
কাউকে ভালোবাসা কিংবা ভালোলাগা অপরাধ হতে পারে না। সন্তানের মা হলেই যে কাউকে ভালোবাসতে পারবেন না এমনটা ঠিক না। নিজেকে সহজলভ্য না করে যদি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন তা হলে ক্ষতি কী!
যা করবেন
আপনার সঙ্গীকে বাড়িতে দাওয়াত করে আপনার বাচ্চাদের সাথে আলাপ করিয়ে দিতে পারেন। খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনার আচরণে কোনো জড়তা প্রকাশ না পায়। সহজ স্বাভাবিকভাবে আলাপ পরিচয় করিয়ে দিন। সবাই একসঙ্গে পার্ক বা সিনেমা দেখে আসতে পারেন।
খেয়াল রাখুন বাচ্চারা যেন কোনোভাবেই উপেক্ষিত বোধ না করেন। তাদের মনে নতুন এ সম্পর্ক নিয়ে যেন ভুল ধারণার সৃষ্টি না হয়। আর খেয়াল রাখতে হবে কোনো আত্মীয়-স্বজন যেন এই সম্পর্কে নাক গলাতে না পারে। অনেক সময়ই তারা ব্যাপারগুলো ভালোভাবে নিতে পারে না।
নতুন সঙ্গী এবং আপনার সন্তানকে একসাথে সময় কাটানোর সুযোগ করে দিন। একটা কমন বন্ডিং থাকলে সম্পর্ক আরও সহজ হতে সময় কম নেবে। এভাবেই একটা নতুন পরিবার হিসেবে আপনারা স্বীকৃতি পাবেন।