গ্রীষ্মকালীন সবজি ঢেঁড়স। নারীর সরু কোমল আঙুলের মতো আকৃতি হওয়ায় ইংরেজ রসিকেরা এর নাম দেন লেডিস ফিঙ্গার। ঢেঁড়স সিদ্ধ ও ভাজি দু'ভাবেই খাওয়া যায়। তরকারি হিসেবে মাছেও ব্যবহার করা হয়। ঢেঁড়সে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, লোহা ও ভিটামিন এ, বি, সি।
মুখের ঘা দূর করতে ঢেঁড়সে রয়েছে ক্যারোটিন, ফলিক অ্যাসিড, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, অক্সালিক অ্যাসিড এবং অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড। এতে রিবোফ্লাভিনের পরিমাণ বেগুন, মুলা, টমেটো ও শিমের চেয়েও বেশি। রিবোফ্লাভিন এক ধরনের ভিটামিন, যা মুখের ঘায়ের চিকিত্সায় ব্যবহূত হয়। তাই মুখের ঘা প্রতিরোধে ঢেঁড়স খাওয়া যেতে পারে।
ঢেঁড়স প্রস্রাবের প্রবাহ বাড়ায় প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধি কমায়। এ কারণে প্রস্রাবের প্রবাহ কমে গেলে তখন তিন-চারটি ঢেঁড়স আধা লিটার পানিতে সিদ্ধ করে পানির পরিমাণ ২৫০ মিলিলিটারে নিয়ে আসতে হবে। এরপর পানি ছেঁকে পিচ্ছিল তরল পদার্থগুলো খেলে প্রস্রাবের প্রবাহ বাড়বে। এভাবে নিয়মিত খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
পেট নরম রাখে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিকারে সিদ্ধ ঢেঁড়স ভর্তা এবং ভাজি বেশ উপকারী। কারণ ঢেঁড়সে রয়েছে প্রচুর আঁশ যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।
পাশাপাশি প্রতি ১০০ গ্রাম ঢেঁড়সে আছে ৬৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১.৫ মিলিগ্রাম লোহা, যা হাড়কে মজবুত রাখবে এবং শরীরে রক্তের জোগান দেবে।
ডায়াবেটিসে উপকারী ব্লাড সুগার কমাতেও ঢেঁড়স অতুলনীয়। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের অন্যতম খাবার হতে পারে ঢেঁড়স। প্রতি ১০০ গ্রাম ঢেঁড়সের মধ্যে আছে ০.০৭ মিলিগ্রাম থায়ামিন, ০.০১ মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন, ০.০৬ মিলিগ্রাম নিয়াসিন। এসব ভিটামিন ডায়াবেটিক রোগীর প্রান্তীয় নার্ভ বা স্নায়ুতন্ত্রতে পুষ্টি সরবরাহ করে ও সতেজ রাখে।