দক্ষিণ সুদানে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় সেখানে আরো শান্তিরক্ষী পাঠাতে বলেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা
জাতিগত সহিংসতায় প্রাণহানির খবর আসতে থাকার প্রেক্ষিতে বান কি মুন নিরাপত্তা পরিষদকে শান্তিরক্ষী বাড়ানোর আহবান জানালেন। তিনি বলেন,ক্ষমতার অপব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দক্ষিণ সুদানে নিযুক্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী ইউএনএমআইএসএস এক বিবৃতিতে বলেছে, 'দক্ষিণ সুদানের বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় আরো শান্তিরক্ষী পাঠানো হবে'। এদিকে দক্ষিণ সুদানের সেনারা বিদোহী নিয়ন্ত্রিত বোর শহরে প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সালভা কির। পার্লামেন্টে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী সেই শহরে অভিযান পরিচালনা করতে প্রস্তুত। মার্কিন নাগরিকদের নিরাপদে এলাকা থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে সেনা অভিযানে বিলম্ব হয়েছে বলে জানান কির। বোর শহর গত বুধবার দখল করে নেয় বিদ্রোহীরা।
বরখাস্তকৃত ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়েক ম্যাকারের অনুসারী সেনারা অধিকাংশ শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। তারা বেপরোয়া গণহত্যা চালাচ্ছে নুয়ের গোষ্ঠীর ওপর । রাজধানী জুবা থেকে সাংবাদিক হান্না নেশ জানালেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তিনি একটি গণহত্যার বর্ণনা শুনেছেন। প্রায় ২শ' লোককে একটি থানায় জড়ো করে গুলি করে হত্যা করে দিনকা গোষ্ঠীর বন্দুকধারীরা। আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানালেন, নুয়ের গোষ্ঠীর যে সব লোক দিনকা ভাষায় কথা বলতে পারেনি তাদের সবাইকেই হত্যা করা হয়েছে।
গৃহযুদ্ধের মুখে থাকা বিশ্বের নবীনতম স্বাধীন দেশ দক্ষিণ সুদানের নাগরিকদের রক্ষায় গোলযোগপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে আরো শান্তিরক্ষী পাঠানোর কথা জানিয়েছে জাতিসংঘ। পাশাপাশি সেখান থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ কর্মীদের সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বান কি মুন বলেন, আমরা সমস্যার সবগুলো দিকেই আলোকপাত করছি। সহিংসতার অভিযোগগুলো তদন্ত করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে দক্ষিণ সুদানে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার মানুষ মারা গেছে। জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সমন্বয়ক টবি ল্যাঞ্জার বলেন, আমি বোর শহরে এমন কিছু ভয়াবহ ঘটনা দেখেছি যা মানুষ কল্পনাও করতে পারে না।