আরামবাগকে ৬-০ গোলে হারিয়ে টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। গত লিগের প্রথম পর্বে ৩-০ গোলে হারালেও ফিরতি পর্বে আরামবাগের সাথে গোল শূন্য ড্র করে মূল্যবান পয়েন্ট হারিয়েছিল শেখ রাসেল। সেটা মাথায় নিয়েই গতকাল মাঠে নেমেছিল শেখ রাসেলের খেলোয়াড়রা। এই লিগে আরো কোনো দলের এমনটি নেই। এমনকি এ পর্যন্ত লিগের বড় জয় এটি। শেখ জামাল ৪-০ গোলে জিতেছিল, সেটিও আরামবাগের বিরুদ্ধে। বদলি হিসেবে খেলতে নামা স্ট্রাইকার মিঠুন চৌধুরির সামনে গতকাল হ্যাটট্রিকের সুযোগ এলেও সেটা আর হয়নি। চলতি মৌসুমে মিঠুন গোলের খাতা খুললেন দুইবার বল জালে পাঠিয়ে। প্রথমার্ধে ১-০ ব্যবধান ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের উত্সব করে শেখ রাসেল। অন্য গোলগুলো করেন এমিলি, জাহিদ, রাজন, জাহিদ। ছয় খেলায় ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রাসেল।
খেলার ৫৩ মিনিটে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার সময় আরামবাগের নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার আবু পল দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের অপরাধে লালকার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়লে শেষ ৩৭ মিনিট আরামবাগ ১০ জন নিয়ে খেলে। সঙ্গত কারণেই ওদের ডিফেন্স দুর্বল হয়ে পড়ে। সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে শেখ রাসেল জাহেদ পারভেজ এবং মিঠুনকে নামিয়ে আক্রমণ বাড়ায়। গোল করে এগিয়ে থাকলেও আরামবাগকে ভয় পাচ্ছিল তারা। এ কারণে কোনো ঝুঁকি না নিতেই শেখ রাসেলের কোচ মারুফুল হকের যত সাবধানতা অবলম্বন। সেটা কাজে লাগায় ম্যাচে গোলের ব্যবধানও বাড়তে থাকে।
গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আরামবাগের বিরুদ্ধে ম্যাচটা নিয়ে শেখ রাসেল শুরুতেই ভাবনায় পড়েছিল। কারণ ফরোয়ার্ড জাহিদ, হাইতির সনি নরডে এবং মরক্কোর জানাবি গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। ৩৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে এমিলির গোলে শেখ রাসেলের গোলের দুয়ার খুলে যায় (১-০)। দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরু হলে মাত্র ৩৭ সেকেন্ডে জাহিদের কাছ থেকে বল পেয়ে সনি গোল করেন (২-০)। ৬৯ মিনিটে মিঠুন (৩-০), ৭৪ মিনিটে বদলি খেলতে নামা রাজন গোল করেন (৪-০), ৮১ মিনিটে মিঠুনের দ্বিতীয় গোল (৫-০) এবং ইনজুরি টাইমে প্লেমেকার জাহিদের বাঁক খাওয়ানো দারুণ শট জালে (৬-০)। আজ খেলা নেই।