আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৩ জানুয়ারি। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে চলছে জোড় প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন গত বৃহস্পতিবার সর্বশেষ আশুগঞ্জ বন্দরের সম্মেলন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘ ৯ বছর পর এই সম্মেলনের আয়োজনকে ঘিরে পুরো উপজেলার তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মাঝে চলছে ব্যাপক উত্সাহ-উদ্দীপনা। প্রধান ২টি পদে নেতা নির্বাচন নিয়ে চলছে নতুন করে হিসাব-নিকাশ। জানা যায়, ২০০৩ সালে সর্বশেষ আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতি পদে হাজী ফিরোজ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক পদে আবু নাছের আহামেদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিন বছর মেয়াদি কমিটি দিয়ে চলছে দীর্ঘ ৯ বছর। গত ১০ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর এমপি আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার কঠোর নির্দেশ দেন। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার ৯টি ইউনিটের সম্মেলন সম্পন্ন হয়। এই ৯টি ইউনিটের মধ্যে আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ডাঃ আব্দুল্লাহ সভাপতি, সেলিম জাহাঙ্গির সাধারণ সম্পাদক, আশুগঞ্জ বন্দর কমিটিতে মোঃ শফিকুল ইসলাম সভাপতি ও বাবুল আহম্মেদ সাধারণ সম্পাদক, চরচারতলা ইউনিয়নে মোঃ আলমগীর মুন্সি সভাপতি ও মোঃ আইয়ুব খান সাধারণ সম্পাদক, দূর্গাপুর ইউনিয়নে মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন মাজু সভাপতি ও মোয়াজ্জেম হায়দার সাধারণ সম্পাদক, তালশহর ইউনিয়নে মোঃ আবু শামা সভাপতি ও মোঃ মজনু মিয়া সাধারণ সম্পাদক, আড়াইসিধা ইউনিয়নে মোঃ শাহজাহান খন্দকার সভাপতি ও ডাঃ মোঃ সেলিম মিয়া সাধারণ সম্পাদক, শরীফপুর ইউনিয়নে আবু সায়েদ লাল মিয়া সভাপতি ও সাইফউদ্দিন চৌধুরী সাফি সাধারণ সম্পাদক, লালপুর ইউনিয়নে মোঃ মোর্শেদ মাষ্টার সভাপতি ও মোঃ খলিলুর রহমান সাধারণ সম্পাদক, তারুয়া ইউনিয়নে মোঃ ইদ্রিস হাসান সভাপতি ও মোঃ বাদল সাদির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এবারের উপজেলা সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থীর নাম শুনা গেলেও মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন ৪ জন প্রার্থী। সভাপতি পদে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী মোঃ সফিউল্লাহ মিয়া, বর্তমান সভাপতি হাজী ফিরোজ মিয়া ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলাম ভুইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের আহাম্মেদ, যুবলীগের সভাপতি মোঃ হানিফ মুন্সি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ হেবজু মিয়া প্রার্থী হয়ে জোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীরা রায় পেতে ছুটছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে।
তৃণমূল নেতা-কর্মীরা মনে করেন, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে নেতা নির্বাচন করতে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুসরণ করা উচিত। যদি ৮টি ইউনিয়ন ও বন্দর শাখাসহ প্রতিটি কমিটির ২১ ভোটার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ১৫ ভোটারসহ মোট ২০৪ জনের প্রত্যক্ষ ভোটে নেতা নির্বাচন করা হয় তাহলে দল অনেক শক্তিশালী হবে এবং কমিটি নিয়ে কোন মতবিরোধ থাকবে না।