রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ধ্রুপদি বাংলা চলচ্চিত্রের অনন্য ব্যক্তিত্ব, সুচিত্রা সেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, এই কিংবদন্তী অভিনেত্রীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলা সিনেমার একটি যুগের অবসান হলো। পাবনায় সুচিত্রা সেনের বাড়ি হওয়ায় তিনি এ দেশেরও বিরাট সম্পদ এবং বাংলাদেশে তার লাখ লাখ ভক্ত রয়েছে। প্রকৃত বাঙালি সংস্কৃতিভিত্তিক ধ্রুপদি চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রেরণা হিসেবে সুচিত্রা সেন চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা সিনেমার মহানায়িকা ও চলচ্চিত্রে চিরায়ত ইতিহাসের স্রষ্টা সুচিত্রা সেনের প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী সুচিত্রা সেনকে বাংলা সিনেমার 'গ্রেটা গার্বো' উল্লে¬খ করে বলেন, সুচিত্রা তার অন্যতম অতিপ্রিয় একজন নায়িকা। তিনি নিজেও তার ভক্ত। তিনি বলেন, তার মৃত্যুতে বাংলার মানুষ শাশ্বত এক বাঙালি কন্যা, জায়া ও জননীর প্রতিমূর্তিকে হারালো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুচিত্রা সেনের অভিনয়ে মূলত বাংলা ও বাংলাদেশই মূর্ত হয়ে উঠেছিল। তিনি বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিভিত্তিক সিনেমার উত্কর্ষে অনুপ্রেরণাদায়িনী হিসাবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
এছাড়াও শোক প্রকাশ করে বাণী দিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী, বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর প্রমুখ।
জাতীয় পার্টি-জেপি'র শোক প্রকাশ
জাতীয় পার্টি-জেপি'র চেয়ারম্যান এবং বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক বিবৃতিতে জেপি নেতৃদ্বয় বলেন, তাঁর মৃত্যুতে বাংলা চলচ্চিত্রের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটলো। তিনি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিতে অমূল্য অবদান রেখেছেন। তিনি ছিলেন কালজয়ী প্রতিভার অধিকারী। এই বাংলার সন্তান হিসেবে তিনি ছিলেন প্রতিটি বাঙালির গর্বের বস্তু। সমগ্র জাতির সাথে আমরাও তাকে স্মরণ করছি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়।
ইইউ পার্লামেন্টে বাংলাদেশ বিষয়ে পাস হওয়া এক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, 'যেসব রাজনৈতিক দল সন্ত্রাসী তত্পরতা চালাচ্ছে তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত।' আপনিও কি তাই মনে করেন?