আগামী সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য সিরিয়ার সবপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। এদিকে ফাঁস হয়ে যাওয়া একটি চিঠির বরাতে জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের নেতৃত্বাধীন সিরিয়া সরকার শর্তসাপেক্ষে আলোচনায় অংশ নিতে রাজি হয়েছে।
সিরিয়ায় সংঘাত বন্ধের লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য গৃহযুদ্ধকবলিত দেশটির সবপক্ষের প্রতি আহবান জাানান কেরি। ওয়াশিংটনে গত বৃহস্পতিবার কেরি বলেন, আগামী বুধবার থেকে মন্ট্রিয়াক্সে শুরু হওয়া আলোচনার অংশ হতে শুক্রবার (গতকাল) সিরীয় বিরোধীদের ভোটের মাধ্যমে মতামত দেয়া অত্যাবশ্যক। তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক পরিবর্তনে নেতৃত্বের জন্য মনোনীত ব্যক্তি অবশ্যই সরকার এবং বিরোধী শক্তি উভয়ের কাছেই গ্রহণযোগ্য হতে হবে।
এরই মধ্যে শর্তসাপেক্ষে শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণে রাজি হয়েছে সিরিয়ার সরকার। ফাঁস হয়ে যাওয়া একটি চিঠির বরাত দিয়ে শুক্রবার এই খবরটি জানিয়েছে আল জাজিরা। সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল মুয়াল্লেম জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের বরাবর চিঠিটি দিয়েছেন। বান কি মুনের আমন্ত্রণের জবাবে মুয়াল্লেম বলেন, আমন্ত্রণের কিছু শর্তে তারা রাজি নন। এর কারণ হলো যুদ্ধরতরা সিরিয়ার আইনি ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত। চিঠিতে তিনি আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের নিয়মানুযায়ী সন্ত্রাসী দলগুলোকে সমর্থন বন্ধ করা এবং রসদ দিয়ে সাহায্য না করার আহ্বান জানান। মুয়াল্লেম চিঠিতে তিনি আশাবাদ জানিয়েছেন, তাদের দেয়া শর্ত মেনে আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরা আলোচনা করলে তিন বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটবে।
এদিকে সিরিয়ার প্রবাসী বিরোধী জোট সিরিয়ান ন্যাশনাল কোয়ালিশন (এসএনসি) বলেছে, এই চিঠি আলোচনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। অপরদিকে, আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহকে প্রত্যাখ্যান করা সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ কেন্দ্রীয় বিরোধী গ্রুপ ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেশনস বডি (এনসিবি) বৃহস্পতিবার বলেছে, তারা এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করবে না।
এনসিবি'র নির্বাহী সদস্য খালিদ দাউদ অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া সিরিয়ার জনগণের দিকে না তাকিয়ে নিজেদের স্বার্থই দেখছে।