শেরপুর শ্রীবরদী সড়কের গুরুত্বপূর্ণ কুড়িকাহনীয়া বেইলি ব্রিজটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যে কোন সময় ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিপর্যয় ঘটাতে পারে। ইতোমধ্যেই ব্রিজটির পাটাতনের কয়েকটি স্থানে স্টিলপ্লেট সরে গেছে। পিলারগুলো নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। ভারি যান চলাচলের সময় ব্রিজটি কাঁপতে থাকে। যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে সীমান্তবর্তী শেরপুর-শ্রীবরদী সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ রুটের কুড়িকাহনীয়া ব্রিজের উপর দিয়ে প্রতিদিন কুড়িগ্রাম জেলার রাজীবপুর, রৌমারী, জামালপুর জেলার সানন্দাবাড়ি, বকশীগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানের বিপুল সংখ্যক যানবাহন চলাচল করে। এ প্রসঙ্গে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কুড়িকাহনীয়া বেইলি ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ স্বীকার করে জানান, শেরপুর-শ্রীবরদী সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ কুড়িকাহনীয়া বেইলি ব্রিজের পরিবর্তে সেখানে সিঙ্গেল স্প্যান পাকা ব্রিজ ও কয়েকটি কালভার্ট নির্মাণ এবং প্রশস্তকরণসহ ২৬.৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নের জন্য ৩৫ কোটি টাকার ১টি প্যাকেজ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
বড়াইগ্রাম-চাটমোহর সড়কে
কালভার্ট ভেঙ্গে গেছে
বড়াইগ্রাম (নাটোর) সংবাদদাতা জানান, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের বোর্ণীতে কালভার্ট ভেঙ্গে পড়ায় বড়াইগ্রাম ও চাটমোহরের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জোনাইল-চাটমোহর ফিডার সড়কের বোর্ণীতে একটি পুরনো কালভার্ট সংস্কারের অভাবে কিছুদিন আগে একটি অংশ ধসে যায়। তারপরও লোকজন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেছে। কিন্তু গত মঙ্গলবার কালভার্টের অর্ধেক ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যায়। এতে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী ট্রাক-বাস-সিএনজি চালিত হিউম্যান হলার চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। এতে দুই উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জোনাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল আলম রাসেল বলেন, কালভার্টটি পুনঃনির্মাণের জন্য উপজেলা সমন্বয় কমিটির মিটিংয়ে একাধিকবার তুলে ধরেছি। কিন্তু পুনঃনির্মাণ বা সংস্কার কোনটিই না করায় বর্তমানে সেটি ভেঙ্গে পড়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, কালভার্টটি পুনঃনির্মাণের টেন্ডার হয়েছে। এছাড়া নতুন করে রাস্তাটিও সংস্কারের টেন্ডার হবে। দুটো কাজ একসাথে করবো। তাই একটু দেরি হচ্ছে।