ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে জালিয়াতের অর্িভযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় তিন পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। আজ শুক্রবার 'ই' ইউনিটের (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ) পরীক্ষা চলাকালে ওই তিন পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, বগুড়া সরকারী আযিযুল হক কলেজের মনোবিজ্ঞান প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম ও আসাদুর রহমান বাপ্পী এবং ইফতিয়াজ হোসেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে ৮ টা শুরু হওয়া 'ই' ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজী ভবনের ১২০ নম্বর কক্ষ থেকে দায়িত্বরত শিক্ষক তরিকুল নামের ওই পরীক্ষার্থীকে ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ আটক করে। পরে তাকে প্রক্টর অফিসে হস্তান্তর করা হয়। একই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল এন্ড কলেজের ২১০ নম্বর কক্ষ থেকে বাপ্পীকে আটক করে প্রক্টর অফিসে দেয়া হয়। অন্যদিকে সোয়া ১০ টায় থেকে শুরু হওয়া একই ইউনিটের জোর রোল নম্বরধারীদের পরীক্ষা চলাকালে তৃতীয় বিজ্ঞান ভবন থেকে আটক করা হয় ইফতিয়াজকে।
জানা যায় ঐ তিন পরীক্ষার্থীই তাদের কাছে থাকা উচ্চ মানের ডিভাইস হাতে বাধিয়ে কানে লুকানো ব্লুটুথের মাধ্যমে ক্যাম্পাসের পাশ্ববর্তী এলাকায় অবস্থানরত একটি চক্রের সাথে তারা যোগাযোগ করে উত্তরপত্র পূরণ করছিল। এ সময় তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা একটি বড় জার্িলয়াত চক্রের সদস্যও বলে জানা যায়।
এদিকে,ওই চক্রকে গ্রেপ্তারের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর তারিকুল হাসান।
আটক আসাদুর রহমান বাপ্পী সাংবাদিকদের বলেন, বগুড়া আযিযুল হক কলেজের আরিফ নামের এক বড় ভাই পরীক্ষা চলাকালীন বাহির থেকে উত্তর মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে তার কাছে পাঠাচ্ছিল। সেখানে কেবলই প্রশ্নে ক্রমিক নাম্বার দিয়ে উত্তর দেয়া হয়।
কথিত ঐ বড় ভাই প্রশ্নপত্র কোথায় থেকে পেল এমন প্রশ্নে তিনি আরো বলেন, কোথায় থেকে প্রশ্ন পেয়েছে তা বলতে পারবো না তবে তারা সঠিক উত্তরগুলোই ডিভাইসের মাধ্যমে সরবরাহ করবে তা আগেই নিশ্চত করেছিল।