জাতীয় অধ্যাপক নূরুল ইসলাম পেশাগত কাজের পাশাপাশি সব সময় দেশের মানুষ ও সমাজের কল্যাণের কথা ভাবতেন। দেশে মেডিক্যাল শিক্ষায় পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রি চালু, ধূমপান বিরোধী সামাজিক আন্দোলন ও জাতীয় ওষুধনীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে তার অবদান জাতি চিরদিন মনে রাখবে। পেশাগত জীবন ও প্রশাসনিক দিক থেকে শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতার ক্ষেত্রে তিনি বর্তমান প্রজন্মের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে জাতীয় অধ্যাপক ডা. নূরুল ইসলামের প্রথম মৃতুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্তের সভাপতিত্বে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোঃ সায়েদুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মাহমুদ হাসান, এম জালালউদ্দিন, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, মোঃ আব্দুল জলিল চৌধুরী, সৈয়দ আতিকুল হক, মোঃ আবদুর রহিম, মোঃ মঈনুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সনজীব কুমার রায় প্রমুখ।
ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত তার বক্তব্যে জাতীয় অধ্যাপক নূরুল ইসলামের স্মৃতি সংরক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়ার কথা উল্লেখ করেন। তিনি অধ্যাপক নুুরুল ইসলামের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যথাসময়ে অফিসে আসার নির্দেশ দেন।
গত বছর ২৪ জানুয়ারি অধ্যাপক নূরুল ইসলাম ইন্তেকাল করেন। তিনি ১৯২৮ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত চিকিত্সক ছিলেন। বর্তমান বিএসএমএমইউ ও সাবেক পিজি হাসপাতালের পরিচালক এবং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (ইউএসটিসি), চট্টগ্রাম-এর প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য ছিলেন তিনি। অধ্যাপক নূরুল ইসলাম ১৯৬৩ সালে রাষ্ট্রপতি পদক, ২০০৩ সালে কলকতা থেকে 'চিকিত্সা রত্ন', ২০০৫ সালে প্রধানমন্ত্রীর বিজ্ঞান লেখক পুরস্কার, ২০০৬ সালে মেরি কুরি পদকসহ বহু পুরস্কারে ভূষিত হন।