লাকসাম-চট্টগ্রাম লাইনে বহু স্থানে ক্লিপ খুলে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা
বড় ধরনের ট্রেন দুর্ঘটনার আশঙ্কা
লাকসাম (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
লাকসাম-চট্টগ্রাম রেললাইনের বিভিন্ন স্থানে স্লিপারের ক্লিপ খুলে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। প্রতিদিন এ রুটে চলাচলকারী বিভিন্ন আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন, মেইল ও লোকাল ট্রেনগুলো ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। তাছাড়া, এ লাইন দিয়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার পণ্য নিয়ে মালবাহী ট্রেনও চলাচল করে। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যে কোন সময়।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের লাকসাম, নাওটি, নাঙ্গলকোট, হাসানপুর, গুণবতী, শর্শদি ও ফেনীসহ বিভিন্ন স্থানে রাতের অন্ধকারে রেললাইনের স্লিপারের ক্লিপ, ফিশপ্লেটের নাটবল্টু খুলে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। এতে প্রতিদিন এ রেললাইন দিয়ে হাজার হাজার যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। লাকসামের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তারা রেললাইনে ক্লিপ না থাকার বিষয়ে স্থানীয় স্টেশন মাস্টারসহ রেলওয়ের কর্মকর্তাদের অবহিত করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক যুবক জানান, সম্প্রতি রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় দেশব্যাপী রেলে নাশকতা ও রেললাইন উপড়ে ফেলার জন্যই এই বিশাল এলাকা জুড়ে রেললাইনের ক্লিপগুলো খুলে ফেলছে দুর্বৃত্তরা।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, রেললাইনের অধিকাংশ স্থানে ক্লিপ না থাকায় গত ১০ জানুয়ারি রাতে নাঙ্গলকোটে মালবাহী ট্রেনের ৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়। ক্লিপগুলো অচিরেই লাগানো হবে। এদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ১৪৭টি ঝুঁকিপূর্ণ স্পট রয়েছে। এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারবো না। তবে রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি মোঃ আহসান হাবীব জানান, আমরা এ বিষয়ে এখনও কোন অভিযোগ পাইনি। লাকসাম রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার দিদারুল ইসলাম জানান, এটি আমার দেখার বিষয় নয়। পিডব্লিউ বিভাগ বিষয়টি তদারক করে থাকে।