যেখানে জামায়াত-শিবির সেখানেই গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপার্দ করার ঘোষণা দিয়ে ১৪ দল নেতৃবৃন্দ বলেছেন, জামায়াত-শিবির একাত্তরের মূর্তিতে পুনরায় আবির্ভূত হয়েছে। যুদ্ধাপরাধের বিচার যখন এগিয়ে চলছে, একজনের রায় হওয়ার পাশাপাশি আরো কয়েক জনের রায় যখন জাতি প্রত্যাশা করছে ঠিক তখনই তারা একাত্তরের পরাজের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর তাদের উসকিয়ে দিচ্ছেন খালেদা জিয়া। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রাখতে হলে যুদ্ধাপরাধীদের দোসর এই অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিটি পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
আজ মঙ্গলবার বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ১৪ দল নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফের বাসভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ এবং সম্প্রতি জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ঢাকা মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নূরুর রহমান সেলিম, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ড. অসিত বরণ রায়, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কামরূল আহসান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, সহ-সভাপতি ফয়েজউদ্দিন মিয়া, মুকুল চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সাম্যবাদী দলের হারুন চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির কিশোর রায়, জাসদের শফিউদ্দিন মন্টু, ন্যাপের ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।
নগর ১৪ দলের সমন্বয়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ১৪ দলের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়ে বলেন, যেখানেই জামায়াত-শিবিরের তান্ডব দেখা যাবে তাদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করবেন।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে ১৪ দলের একটি বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট হয়ে জিপিও, পল্টন ঘুরে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।