রূপচর্চা নিয়ে মাথাব্যথা কার নেই। সকলেই সৌন্দর্য রক্ষায় নিরাপদ উপাদান ব্যবহার করতে চায়। এ ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপাদানই হতে পারে আপনার নির্ভরযোগ্য বন্ধু। মুখে ব্রণ উঠলে, চোখের নিচে কালো দাগ পড়লে, ঠোঁটের কোণে ঘা হলে, ঘন কালো লম্বা চুল ঝরতে শুরু করলে ভাবনার অন্ত থাকে না। তখন রূপচর্চার জন্য কেবল কেমিক্যাল জাতীয় প্রসাধনী আরও বেশি ক্ষতিকারক হতে পারে। তখন দরকার রূপচর্চার এমন সামগ্রী যা ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে মুক্ত প্রাকৃতিক উপাদান। সে ক্ষেত্রে দিন-রাতে রূপচর্চার যেমন পার্থক্য হবে তেমনি ঋতুভেদে ও উপলক্ষগুলোতেও রূপচর্চার তারতম্য হবে।
ত্বকের পরিচর্যায়
ত্বকের গভীরে পরিচ্ছন্নতায় যা করবেন তা হচ্ছে বড় একটি বাটিতে ভালো করে ধোয়া স্ট্রবেরি আধ কাপ, সমপরিমাণ কাঁচা দই বা টক দই মেশান ও বেটে নিন। স্ট্রবেরিতে রয়েছে স্যালিসেলিক এসিড যাতে ত্বক হয় মসৃণ ও টানটান এবং দুধজাত দ্রব্যে মৃদু অম্ল থাকাতে ত্বকের উপর নরম ও কোমল প্রভাব বিস্তার করে। এই মিশ্রণ মুখাবয়বে প্রয়োগ করুন, কয়েক মিনিট এভাবে রাখুন, এরপর ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষায় কয়েকটি লেবুর রস এবং এক বা দুই টেবিল চা চামচ বেবি ওয়েল শরীরে ঘষুণ। হাতের কনুই এবং হাঁটুতে ভালো করে লাগান। উপকার পাবেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য টমেটোর নরম অংশের মণ্ড করে এর দুই টেবিল চামচ, এক টেবিল চামচ আটা বা বেসন মেখে পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণ মুখের উপর ১০ মিনিট এভাবে রেখে দিন। তরমুজের একটি বড় ফালি এবং শশা থেকে রস তৈরি করুন এবং দুই টেবিল চামচ আমেরিকান গুল্ম উইচ হেজেলের রস যোগ করুন। এটি দিনে মুখে প্রয়োগ করুন।
চুলের জন্য যা করতে পারেন
আধ কাপ তাজা গোলাপের পাপড়ির উপর এক কাপ উষ্ণ পানি ঢালুন। পাপড়িগুলো পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। একটি ব্লেন্ডারে একটি মাঝারি আকারের কলা বাকল ছাড়িয়ে ও ফালি করে রাখুন, এক টেবিল চামচ মধু এবং এক টেবিল চামচ বাদাম তেল (তৈলাক্ত চুলের জন্য) মিশিয়ে নিন। এতে যোগ করুন গোলাপের মিশ্রণ এবং মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। এই মিশ্রণ চুলে ও মাথার তালুতে ঘষে ঘষে মেশান। এরপর গরম টাওয়েল দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন এবং ২০-৩০ মিনিট রিলাক্স করুন। সবশেষে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। বাকি যা থাকল তা ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন এক সপ্তাহ।
শীত তাড়াতে
আদা :আদায় আছে তাপ উত্পাদনকারী কিছু বৈশিষ্ট্য। আছে তীব্র গন্ধের জিনজেরল এবং সোগাওল মিশেলের এক যৌগিক উপাদান। যেটি আদার ভেষজ গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে আরও। ঠাণ্ডাজনিত মাথাব্যথা এবং পরিপাকেও সাহায্যকারী আদা। তাই বাড়তি উষ্ণতা পেতে আদা চা কিংবা খানিকটা আদা মুখে পুরে দিন, উষ্ণ হবে শরীর।
সবুজ চা :ধোঁয়া ওঠা এক কাপ সবুজ চা শরীরে দ্রুত তাপ বৃদ্ধি করতে পারে। এই চায়ে আছে উচ্চমাত্রার ক্যাফেইন। সবুজ চা থার্মোজেনিক হওয়ায় শরীরে তাপ ধরে রাখতে পারে। তাই শীতকালে সবুজ চা হোক নিত্যদিনের সঙ্গী।
নারকেল তেল :উচ্চমাত্রার প্রোটিনে সমৃদ্ধ নারকেল তেল। মাত্র এক চামচ নারকেল তেলে থাকে ১১৭ গ্রাম ক্যালরি এবং ১৩.৬ গ্রাম ফ্যাট। এ ছাড়া শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে নারকেল তেল। উপরন্তু, এই তেলে আছে থার্মোজেনিক গুণ। তাই নারকেল তেল শীতেও শরীর রাখবে উষ্ণ।