দিনাজপুর সেক্টরের অধীনে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ গত ৬ বছরে ৮০ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করলেও মাত্র ৮ জনের ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রদান করেছে। বাকি ৭২ জনের ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রদান করা হয়নি। যদিও বাংলাদেশি নিহতদের পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেছে এবং পরে তা পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। কিন্তু লাশের সাথে নিহতের মৃত্যুর কারণ হিসেবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করা হয়নি। এদিকে বারংবার তাগাদা দেয়ার পরেও বিএসএফ নিহতদের ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রদান করে না বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি। বিজিবি জানায়, নিয়মতান্ত্রিকভাবে কোন হত্যার ঘটনা ঘটলে বিএসএফ'র নিহতের লাশের ময়না তদন্ত করে। এরপর সেই লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করেই বাংলাদেশের নিকট হস্তান্তর করা হয়। বিজিবি দিনাজপুর সেক্টর সূত্রে জানা যায়, গত ২০০৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১২ সালে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএসএফ ৮০ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে। এর মধ্যে গত ২০০৭ সালে ২১ জন, ২০০৮ সালে ১২ জন, ২০০৯ সালে ১৯ জন, ২০১০ সালে ১১ জন, ২০১১ সালে ৫ জন এবং ২০১২ সালের ১২ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়। বিজিবি জানায়, গত ৬ বছরে বিএসএফ মাত্র ৮ জনের ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রদান করেছে। এর মধ্যে ২০০৭ সালে ১ জন, ২০০৮ সালে ৫ জন এবং ২০১১ সালে ২ জনের ময়না তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করা হয়। কিন্তু ২০০৯ সালে, ২০১০ সালে এবং ২০১২ সালে কোন ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রদান করা হয়নি।
দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা, মীর হামদসাম জানান, ময়না তদন্তের মাধ্যমে একজনকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে তার সঠিক রিপোর্ট পাওয়া যায়। বিজিবি দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল ইমদাদুল হক পিএসসি জানান, হত্যার ঘটনা ঘটার সাথে সাথে বিজিবি বিএসএফকে তা পত্রের মাধ্যমে জানায়। পরে বিএসএফ'র সাথে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে হত্যার কারণ ও লাশ ফেরত পাওয়া গেলেও বিএসএফ লাশের সাথে ময়না তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করেন না।