আজ শেষ হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। বিকাল ৪টায় সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাণিজ্য মেলা শেষ হবে। এজন্য মেলার ইপিভি-এর কাছাকাছি তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করা হবে। এবারও ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য মেলার মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানালেও তা বাড়ানো হয়নি।
গত দুইদিন ধরে প্রধান এবং দ্বিতীয় গেটে মেটাল ডিরেক্টরের মাধ্যমে দর্শনার্থীদের চেক করে মেলার ভিতরে প্রবেশ করিয়েছেন নিরাপত্তাকর্মীরা, যা আগে কখনো করা হয়নি। গতকালও মেলায় দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। যে যত পারছেন কিনে নিচ্ছেন পছন্দের জিনিসপত্র। সাথে পাচ্ছেন আখেরী এবং গোল্ডেন অফারের সুযোগ। মেলার শেষ উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা পণ্যের উপর দিয়েছেন এই অফারের সুযোগ। তাতে পণ্য প্রতি আরো ১০ শতাংশ মূল্য ছাড় বেড়েছে। স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলোতে চলছে বেচাকেনার ধুম। ধানমণ্ডি থেকে সপরিবারে মেলায় এসেছেন তাসফিয়া নেহেরীন। তিনি ইত্তেফাককে জানান, মেলায় আরো তিনদিন এসেছি। অনেক কিছুই কেনাকাটা করেছি এবারের মেলা থেকে। শেষ দিনটাকে উপভোগ করার জন্য আবারো এসেছি। মূল্য ছাড় পেয়ে পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করলাম। মেলার দিনগুলো অনেক ভালোই কাটছিল। আবার এক বছর পরে ফিরে পাবো এই মেলা।
এদিকে মেলায় আয়-ব্যয়ের হিসাব কষছেন ব্যবসায়ীরা। এ হিসাবে অনেক ব্যবসায়ীর মনে আনন্দ থাকলেও হতাশাই বেশি। লাভ- লোকসানের মধ্য দিয়ে মেলার দিনগুলো কাটাতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। কারণ মেলার সব স্টল ও প্যাভিলিয়নে সমান বিক্রি হয় না। কারণ মেলায় ক্রেতারা আসেন মূল্য ছাড়ের আশায়। জেরিন টেক্সটাইল প্যাভিলিয়নের দোকানি দেলোয়ার হোসেন জানান, এ বছর মেলায় বেচাকেনার অবস্থা খুবই খারাপ। গত বছর এরচেয়ে অনেক ভালো ছিল। প্রচণ্ড শীতের কারণে প্রথম দিকে তেমন জমেনি। আবার শেষদিকে লোকজন হলেও তেমন বিক্রি হয়নি। এ বছর প্রায় ২০ লাখ টাকা লোকসান হবে। এ লোকসানের বোঝা বইতে হবে সারা বছর। আবার অনেক ব্যবসায়ী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রথম থেকেই ৫০ শতাংশ ছাড় চলছিল স্মার্ট টেক্স প্যাভিলিয়নে। বেচাকেনাও হয়েছে ভালো। প্যাভিলিয়নের দোকানি আমিনুল জানান, মেলার শুরু থেকেই ভালো বিক্রি হয়েছে। পণ্যের মূল্য ছাড় ছিল মেলার প্রথম থেকেই। প্রচারণার পাশাপাশি ভালো ব্যবসাও হয়েছে। তবে মেলার মেয়াদ বাড়ালে আরো ভালো হতো।
তবে বিদেশি ব্যবসায়ীদের দিন তেমন ভালো কাটেনি। বিদেশি শীতের পোশাক এবং মেটালের গৃহস্থালির পণ্য বিক্রি হলেও তেমন বিক্রি হয়নি অন্যান্য পণ্য। ইরানি প্যাভিলিয়নের এক ব্যবসায়ী জানান, মেলার মেয়াদ বাড়ালে ভালো হতো। কারণ ছুটির দিনগুলো ছাড়া মেলায় তেমন লোকজন আসেনি এবং বেচাকেনাও তেমন হয়নি। আয়-ব্যয়ের পাল্লা সমান হবে।