বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, যত কিছুই করুক, এ সরকারের আমলে আর পদ্মা সেতু হবে না। কারণ তারা পদ্মা সেতু চায় না। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল এই বিশাল প্রকল্প থেকে ২৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া। তিনি বলেন, এই সরকার লোক দেখানোর জন্য কোটি টাকা খরচ করে পদ্মা সেতুর একটি নাম ফলক উদ্বোধন করবে। সরকার চলে যাওয়ার পর সেই ফলক দেশের মানুষ সরিয়ে ফেলবে। কারণ তাদের কলঙ্ক জনগণ বহন করবে না। তিনি বলেন, একজন মন্ত্রীকে রক্ষা করার জন্য এতোবড় একটি প্রকল্প ও দেশের মানুষের স্বপ্ন এভাবে ভেঙে যেতে পারে না। জনগণ বুঝতে পেরেছে এর পেছনে আরও বড় কিছু আছে। সরকার বিশ্বব্যাংককে বিদায় করেছে ঘুষ খাওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য। এর জন্য অবশ্যই জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'রাজনৈতিক নির্যাতন-হয়রানি ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল' শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মওদুদ আহমদ অভিযোগ করেন, পদ্মা সেতুর এই দুর্নীতির সঙ্গে শুধু একজন মন্ত্রী নয়, পুরো সরকার জড়িত। আর বিশ্বব্যাংককে বিদায় দিয়ে সরকার তা প্রমাণ করেছে। সরকারের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ তারা এখনো খণ্ডন করতে পারেনি, এই অভিযোগ সত্যি। অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতেই সরকার বিশ্বব্যাংককে পত্র দিয়ে জানিয়েছে সহায়তার প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, এ দুর্নীতির বিচার একদিন হবে। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দুটি পদ্মা সেতু করা হবে।
মওদুদ বলেন, বিএনপি একটি প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল। বিএনপি চাইলেই পারে সরকারকে অচল করে দিতে কিন্তু তা করবে না কারণ বিএনপি চায় না গণতন্ত্র বিরোধীরা এর সুযোগ গ্রহণ করুক। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার রক্ষা করতে বুলেট নয়, ব্যালটের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায় বিএনপি।
ইন্টারন্যাশনাল ডায়ালগ এইড ফাউন্ডেশন সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন- সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী বীর বিক্রম, প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামার মিয়া, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. জাহিদ হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল মোবিন চৌধুরী, মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন সুলতানা প্রমুখ।