হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে উপকূলীয় শহর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ
নাসিম আলী, পিরোজপুর অফিস
প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন পৌরসভায় উপকূলীয় শহর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন ও সেনিটেশন ক্ষেত্রে বাসিন্দাদের সহিষ্ণুতা বাড়াতে ইতিমধ্যে উপকূলীয় তিনটি পৌরসভায় সমীক্ষা কাজ সমাপ্ত হয়েছে। পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে সমীক্ষা সম্পন্ন পৌরসভাগুলো হচ্ছে পিরোজপুর,পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা ও বরগুনা জেলার আমতলী। এডিবি'র অর্থায়নেও এলজিইডি'র উপকূলীয় শহর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীন পাইলট প্রকল্প হিসাবে একবছর আগে এই কার্যক্রম শুরু হয়। ইতিমধ্যে এই তিন পৌরসভায় কর্মশালা, তথ্যানুসন্ধান, পৌর পরিষদসহ নাগরিকদের সাথে মতবিনিময় ইত্যাদি কাজ শেষে ওয়ার্কশপ করে তা প্রকাশও করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার পিরোজপুরে এরূপ একটি ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ার্কশপে পৌর মেয়র, কাউন্সিলর, কর্মকর্তা, বিভিন্ন স্তরের নাগরিক, সাংবাদিক, এনজিও কর্মীরা অংশ নেন। গলাচিপা ও আমতলীতেও অনুরূপ ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হবে। প্রকল্প পরিচালক আবুল বাশার ইত্তেফাককে জানান, পরিবর্তিত জলবায়ু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে। এ পাইলট প্রজেক্টের আওতায় পৌর পানি সরবরাহ, সেনিটেশন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট উন্নয়নসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ কাজ করা হবে। এলজিইডি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি'র অর্থায়নে পাইলট প্রজেক্টসহ মূল প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। বৃহস্পতিবার কর্মশালায় জানানো হয়, পিরোজপুর পৌরসভায় প্রায় ১৪৭ কোটি টাকা ব্যয় পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের খসড়া পরিকল্পনা ষ্টাডিগ্রুপ প্রণয়ন করেছে। এর মধ্যে পানি সরবরাহে ৭৪ কোটি সেনিটেশন উন্নয়নে সাড়ে ১২ কোটি, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা তৈরিতে ২৯ কোটি এবং অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নে ৩২ কোটি টাকার সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক আরও জানান, এডিবি'র অর্থায়নে পাইলট প্রকল্পভুক্ত তিনটি পৌরসভা ছাড়াও উপকূলীয় আরও পৌরসভাকে মূল প্রকল্পভুক্ত করা হবে। যেখানে সম্ভাব্য বিনিয়োগ ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার কোটি টাকা। ২০১৪ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত পাঁচ বছর মেয়াদে মূল প্রকল্পে অবকাঠামো বিনির্মাণ করে উপকূলীয় শহর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।