বাংলাদেশের মোট জাতীয় রপ্তানি আয়ের প্রায় তিন-চতুর্থাংশই আসে পোশাক শিল্প থেকে। এ শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় ৬০ লাখ মানুষ। এককথায় বলতে গেলে, এ শিল্পের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যাপক কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যা দেশের জন্য যুগান্তকারী সাফল্য বয়ে নিয়ে এসেছে। এ ক্ষেত্রে যে শুধু অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত বা দরিদ্র শ্রেণীর লোকদেরই কর্মসংস্থান হয়েছে তা নয়, শিক্ষিত শ্রেণীর লোকজনের জন্যও এ শিল্প বয়ে এনেছে সুবর্ণ সুুুুুুুযোগ। কারণ, একজন শিক্ষিত যুবক স্বল্পকালীন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেকে এ ক্ষেত্রে নিযুক্ত করে যে পরিমাণ আয় করতে পারে, তা অন্য কোনো ক্ষেত্রেই সম্ভব নয়। এই ক্ষেত্রেরই এমন একটি পেশা হলো—মার্চেন্ডাইজিং। মার্চেন্ডাইজিং শব্দের অর্থ বণিক বা ব্যবসায়ী। গার্মেন্ট বা বায়িং হাউসগুলোতে রপ্তানি ও আমদানি কাজে অর্থাত্ আন্তর্জাতিক কেনাবেচায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করাই তাদের কাজ। এ বিষয়ে আরও জানতে কথা বলতে পারেন ০১৬৭৬১৪২৬৩৩ এই নম্বরে। মার্চেন্ডাইজাররা অন্য যেকোনো পেশার তুলনায় ভালো উপার্জন করে থাকে। পোশাক শিল্পের পণ্য রপ্তানি শুরুর দিকে এ দেশে তেমন কোনো প্রশিক্ষণকেন্দ্র ছিল না। শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের এ পেশায় দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে বাংলাদেশ মার্চেন্ডাইজারস অ্যাসোসিয়েশনের তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠিত মার্চেন্ডাইজারস ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনোলজি (এমআইএফটি) নামের এই প্রতিষ্ঠান। যা স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রকৃত মার্চেন্ডাইজিং শিখতে একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে যেতে পারেন এই ঠিকানায় :এমআইএফটি, বাড়ি-২/এ, রোড-২/বি, সোনারগাঁ জনপদ, ৪র্থ তলা, সেক্টর-১১, ১নং গেট, উত্তরা, ঢাকা। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশিক্ষক হিসেবে রয়েছেন দেশের সেরা ও সিনিয়র মার্চেন্ডাইজাররা। এখন এখানে উইন্টার সেশনের ২য় ব্যাচের জন্য ভর্তি চলছে, যার ক্লাস শুরু হবে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি। সৃজনশীল এ বিষয়টিতে আগ্রহীরা কোর্স করে গড়ে নিতে পারেন এক সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার।