নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানায় অবস্থিত তিরানা বিজনেস পার্কের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সামাজিক ব্যবসা সংক্রান্ত একটি ভোকেশনাল ট্রেনিং স্কুল স্থাপনের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন। একটি পৃথক কোম্পানি হিসেবে স্কুলটি পরিচালিত হবে এবং সামাজিক ব্যবসার মূলনীতিগুলো মেনে চলবে। এর মালিকানায় থাকবে তিরানা বিজনেস পার্ক ও ইউনূস সোস্যাল বিজনেস, আলবেনিয়া। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্যালি বেরিসা
শেরপুর প্রতিনিধি
প্রচারণার অভাব ও তথ্য না জানার কারণে দরিদ্র মানুষের বিচারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে সরকারি আইনগত সহায়তা তহবিলের যথাযথ ব্যবহার সম্ভব হচ্ছে না। একইভাবে গ্রাম আদালতও সক্রিয় না হওয়ায় দরিদ্র মানুষ আইনের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ বিষয়ে সমপ্রতি শেরপুরে সরকারি আইনগত সহায়তা তহবিল ও গ্রাম আদালত সক্রিয় করতে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে সমপ্রতি মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির সহায়তায় স্থানীয় স্বনির্ভর নারী কল্যাণ সংস্থা এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী। স্বনির্ভর নারী কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সাজেদা পারভীন ঝিনুকের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশেষ অতিথি জেলা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আধার, জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন ঠান্ডু, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুদীপ্তা সরকার, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল হক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা, জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান শামছুন্নাহার কামাল, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হারুনুর রশিদ, ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন মিনাল, এ,কে,এম রফিকুল ইসলাম, নূরে আলম সিদ্দিকী প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় জেলা জজশীপের বিচারক, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আইনজীবী, জনপ্রতিনিধি, ইউপি চেয়ারম্যান-সচিব, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ ও নাগরিক সংগঠনের অর্ধশতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। সভায় গত দুই বছরের গ্রাম আদালতের তথ্য উপস্থাপন করে বলা হয়, সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে জানুয়ারি' ২০১১ থেকে ডিসেম্বর' ২০১২ পর্যন্ত গ্রাম আদালতে ২৫৬টি মামলার আবেদন জমা পড়ে। তন্মধ্যে ২৩৬টি মামলা গ্রহণ করা হয় এবং ইতোমধ্যে ২০৮টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এতে ২৩ লাখ সাড়ে ১৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে এবং আর্থিক সাশ্রয় হয়েছে প্রায় সাড়ে সাত লাখ টাকা।