প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফেইসবুকে কোন 'অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট' বা 'পেইজ' নেই। ফেইসবুকে 'শেখ হাসিনা' নামে থাকা একটি অ্যাকাউন্টে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে পোস্ট আসার পর আজ বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল ইত্তেফাককে এ তথ্য জানিয়ে আরো বলেন, বিষয়টি ফেইসবুক কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এখন সবার প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ফেইসবুকে অ্যাকাউন্টটা খুলল কে? তথ্য প্রযুক্তিবিদদের মতে, এটা শনাক্ত করা অসম্ভব নয়।
সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেইসবুকে 'শেখ হাসিনা' নামে বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট ও পেইজ রয়েছে। যার প্রতিটিতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেশ কিছু ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে 'Sheikh Hasina' নামে একটি 'পেইজ' থেকে আজ বাংলায় লেখা একটি পোস্ট দেয়া হয়, যাতে বলা হয়, 'নির্বাচনী ওয়াদা অনুযায়ী আমাদের সরকার চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে কিন্তু তাদের ফাঁসি দেবার ব্যাপারে কোন নিশ্চয়তা আমাদের সরকার দেয়নি। এই ট্রাইব্যুনালের রায়ে অসন্তোষ দেখিয়ে যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয় তাহলে কি আইনের শাসনের প্রতি সম্মান দেখানো হবে? এবং এই বিশৃঙ্খলার সুযোগে যদি কোন প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী মাথা চাড়া দেয় তা কারো জন্যেই ভালো হবে না। তাই আটক চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় না হওয়া পর্যন্ত সকলকে ধৈর্য্য ধরার আহবান করছি...।' ২০০৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার নামে খোলা পেইজ এ পর্যন্ত ১ লাখ ৮ হাজার ৪১৯ জন 'লাইক' করেছেন।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত মঙ্গলবার জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু তার সর্বোচ্চ সাজা না হওয়ায় রায় প্রত্যাখ্যান করে ওই দিন রাতেই কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ-সমাবেশের ডাক দেয় ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যক্টিভিস্ট ফোরাম নামের একটি সংগঠন। তাদের সঙ্গে বিক্ষোভে যোগ দেয় বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক সংগঠন এবং নানা শ্রেণী-পেশাসহ সর্বস্তরের মানুষ। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত ঘরে না ফেরার ঘোষণা দিয়ে তাদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।