দলীয় নেতা-কর্মী নিহতের প্রতিবাদ, ট্রাইব্যুনাল বাতিল ও আবদুল কাদের মোল্লাসহ আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে জামায়াত। কেন্দ্রিয়ভাবে গতকাল দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনে থেকে পুলিশ পাহারায় কয়েক হাজার জামায়াত-শিবির কর্মী একটি মিছিল বের করে। মিছিলে যুদ্ধাপরাধ বিচার ট্রাইব্যুনাল বাতিলের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
মিছিলটি রামপুরা কাঁচাবাজারে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। নেতৃবৃন্দ কাল শুক্রবার দোয়া দিবস পালন করার আহবান জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিল করার সময় শিবির কর্মীদের হাতে লাঠিসোঁটা দেখা যায়। তবে এই মিছিলের সময় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এ সময় মৌচাক, মালিবাগ, মগবাজার, বাংলামোটর এলাকায় কিছু সময়ের জন্য তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এদিকে জামায়াতে ইসলামীর যেসব শীর্ষ নেতারা আটক রয়েছেন তাদের আগামী নির্বাচনের আগেই আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। তিনি বলেন, দলের নেতাদের নামে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। সরকারের নির্দেশিত ছকে আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে রায় দেয়া হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। সেখানে ন্যায় বিচার পাবেন বলে দাবি করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের সাথে সমঝোতা হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, সরকারের সাথে সমঝোতার প্রশ্নই আসে না, তারা পরিকল্পিতভাবে আন্দোলনের নামে রাজপথ দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, দলের নেতাদের ওপর সরকারের নীপিড়ন যত বাড়বে আন্দোলন ততই তীব্র হবে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচনের আগেই আটক নেতারা মুক্তি পাবেন।