গত ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রেলস্টেশন চত্বরে একে একে হাজির হতে থাকেন সারাদেশ ফোরাম সদস্য ও তাদের পরিবারের লোকজন। এরপর শুরু হয় চা-চক্র। পরিবেশন করেন সারাদেশ ফোরাম উপদেষ্টা ও কুমারখালি প্রেসক্লাবের সভাপতি বাবলু জোয়ারদার। পৌনে ১০টা বাজতে না বাজতে এসে হাজির হন মহেন্দ্র গাড়ির ড্রাইভার রবিউল এবং তার সঙ্গী আরও তিনটি মহেন্দ্রসহ ড্রাইভার। সোয়া দশটায় রমেশ দধি ভাণ্ডারের সামনে থেকে গাড়িতে ওঠা শুরু। একে একে চারটি গাড়িতে উঠে যাত্রা শুরু হয়। গন্তব্য বিশ্বকবির স্মৃতিধন্য শিলাইদহ কুঠিবাড়ি। শেষ গাড়িতে ওঠে ইত্তেফাক সারাদেশ ফোরাম সদস্য সচিব সুনম সরোয়ার বকুল, উপদেষ্টা নাট্যকার লিটন আব্বাস, সদস্য এজেড শেখ, এসআই মুন্না ও অন্যরা। কিছু সময় গড়াতে না গড়াতেই পৌঁছে যায় শিলাইদহ কুঠিবাড়ি। ইত্তেফাক সারাদেশ ফোরাম আহ্বায়ক তুষার রেজা ও বাবলু জোয়ারদারের নেতৃত্বে শিলাইদহ কুঠিবাড়ির প্রধান গেট অতিক্রম করেই সকলে মিলে সোজা বকুল তলায় হাজির। উপস্থিত চড়ুইভাতি সদস্যবৃন্দের আলোচনায় উঠে আসে বকুল তলা নিয়ে নানা স্মৃতি। ব্যাখ্যা করেন একে অপরে অভিজ্ঞতা। কুঠিবাড়ির মূল আঙিনার বাইরে চলতে থাকে বাবুর্চিদের হাতের নিখুঁত কাজ। মাটিতে পেতে দেওয়া হয় কার্পেট। টাঙানো হয় চড়ুইভাতির সুন্দর ব্যানার। কার্পেটে বসে পড়েন সাংস্কৃতিক দলের সদস্যবৃন্দ ও অন্যরা। শুরু হয় মনোমুগ্ধকর গান-বাজনা। একে একে গান পরিবেশন করেন তৃষা, রকি, সুনম সরোয়ার বকুল, শিশু শিল্পী নিঝুম। উপস্থাপনা করেন তুষার রেজা। কবিগুরুর কবিতা আবৃত্তি করেন বাবলু জোয়ারদার ও লিটন আব্বাস। তখন সময় পৌনে তিনটা পেটে ক্ষুধা। ব্যস্ত নাসির উদ্দিন বলে ওঠেন আমাকে কয়টা খাবার দিলে, খেয়ে চলে যেতাম। শুরু হলো খাবারের পালা। একে একে বসা অতঃপর প্লেট ধোয়া। খাবার পরিবেশন করেন বাবলু জোয়ারদার, রওশন জোয়ারদার, সুনম সরোয়ার বকুল, আবু সাঈদ, তুষার রেজা, মাসুদ, কৃষ্ণ ঠাকুর, এজেড শেখসহ অন্যরা। তিনপর্বে খাওয়া দাওয়ার পালা শেষ। এরপর সবাই মিলে কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত কুঠিবাড়ি পরিদর্শন করেন। কুঠিবাড়ি আঙিনায় পৌছে লিটন আব্বাস, বাবলু জোয়ারদার এসআই মুন্না, আবু সাঈদসহ অন্যরা সন্ধান করেন উপেনের সেই ঐতিহাসিক দুই বিঘার ভিটা।