শাহবাগ আন্দোলনের দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পদ্মা সেতু দুর্নীতি, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, হল-মার্ক কেলেঙ্কারি আড়াল করতেই সরকার নতুন কৌশল নিয়েছে। যত কৌশল করেন, যত চতুরতা করেন, যত ভেলকি দেখান,কোন কাজ হবে না। জনগণ জেগে উঠেছে। সরকারের পতন হবেই হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করবই করব । এ সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে। আর কোনো কৌশলেই কাজ হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাঙ্গণে ছাত্রলীগের অব্যাহত সন্ত্রাস, দখলদারিত্ব, অস্ত্রবাজি চাঁদাবাজি, নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে দলের কেন্দ্রিয় কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলে হাজার হাজার ছাত্রদল কর্মী অংশ নেন। নাইটিংগেল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত সড়কটি কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। দীর্ঘ সময় এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে মিছিলটি বিজয়নগর, পুরানা পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা হয়ে শাপলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজ বাংলাদেশ একটি কঠিন সংগ্রাম-লড়াই করছে। এ লড়াই দেশের অস্তিত্বের লড়াই। গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার লড়াই। আমরা ছাত্রদলের দিকে তাকিয়ে আছি। তারা এ আন্দোলনে নেতৃত্ব এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেবে। আগামী নির্বাচনে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে দেশকে সন্ত্রাস ও ছাত্রলীগ মুক্ত করবো।
ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমান উল্লাহ আমান, রহুল কবির রিজভী, আসাদুজ্জামান রিপন, ফজলুল হক মিলন, হাবিবুর রহমান হাবিব, মোস্তাফিজুর রহমনা বাবুল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, হাবিবুর রশীদ হাবিব প্রমুখ।