বর্তমানে দোয়া ও ওযীফার ওপর অনেক বই বাজারে রয়েছে। যেগুলোতে কুরআন ও হাদীসের বাইরে অনেক মনগড়া বিষয় স্থান পেয়েছে। এই ওযীফার বইটি তার ব্যতিক্রম। এই বইটিতে কুরআনুল কারীমের সেই সব সূরা ও সূরার অংশ বিশেষ সেই সমস্ত দোয়া সংকলিত হয়েছে যা নবী করীম (স.) স্বয়ং সকাল-সন্ধ্যায় আমল করতেন এবং সাহাবায়ে কেরামকেও আমল করতে বলতেন। পাঠকদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ওযীফার শেষ অংশে পবিত্র কুরআন মাজীদের কয়েকটি সূরা সন্নিবেশিত করা হয়েছে। সব শেষে কতিপয় দোয়া ও আসমাউল হুসনার মাধ্যমে ওযীফা সমাপ্ত করা হয়েছে। যারা সরাসরি আরবী পড়তে সক্ষম নন তাদের সুবিধার্থে সবগুলো আয়াত দোয়ার বাংলা উচ্চারণসহ অর্থ দেয়া হয়েছে। তবে প্রত্যেকের উচিত সরাসরি আরবী ভাষায় পড়ার চেষ্টা করা। কারণ বাংলা উচ্চারণে আরবী ভাষা বিশুদ্ধভাবে পাঠ করা খুবই কঠিন। রসূল (স.) বলেছেন, দোয়া মনোযোগের সাথে পাঠ না করা হলে কবুল হয় না। তাই আরবী ভাষায় যে দোয়া আপনি মুখে আবৃত্তি করবেন তা শব্দে শব্দে না বুঝলেও এর মর্মকথা অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে। সেই জন্য এই বইটি খুবই জরুরি। বইটিতে দোয়ার আদব, যাদের দোয়া কবুল হয়। শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচার আমল, বরকত লাভের আমল, ইসমে আযম, অন্তর সজীব রাখার আমল, জান্নাত লাভের আমল, সূরা যিলযাল কাফেরুন, নসর, ইসলামের ফজিলত, জাদুটোনা থেকে রক্ষা পাওয়ার আমল, ঈমান হেফাজতের আমল, আল্লাহ নেয়ামত লাভের আমল, ক্ষমা লাভের আমল, দুরূদ শরীফের আমল, আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়ার আমল বর্ণনা করা হয়েছে। তাছাড়া অর্থ ও উচ্চারণসহ সূরা ইয়াছিন, সূরা দুখান, আর রহমান, ওয়াফিয়া হাশর, জুমুআহ, নূহ, মুযযাম্মীল-এর বিবরণ দেয়া হয়েছে। যা একজন ঈমানদার মুসলমানের কাছে অতীব জরুরি। আমরা গ্রন্থটির বহুল প্রচার প্রত্যাশা করছি।
—ড. মো. সূফী সম্রাট নাদিম পারভেজ
নাম: আল্লাহর রসূল হযরত মুহাম্মদ (স.) শিশু-কিশোরদের জন্য
লেখক: প্রফেসর মোহাম্মদ আবদুল হালিম
প্রকাশক: গিয়াসউদ্দীন খসরু
প্রকাশনায়: ঝিঙে ফুল, ৩৪ নর্থব্রুক হল রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা।
প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি ২০১৪
পরিবেশক: শব্দরূপ
ছবি ও রঙের বিন্যাস: অধ্যাপক রুকন উদ্দিন আহমেদ
প্রচ্ছদ ও অলংকরণ: প্রকাশক নিজে
মূল্য: ৩০০/-(তিনশত) টাকা মাত্র
হযরত মুহাম্মদ (স.) এর জীবনের ওপর পৃথিবীতে রচিত হয়েছে অসংখ্য গ্রন্থ। তার মধ্যে কিছু গ্রন্থ সুখপাঠ্য। যা পাঠ করলে নবী প্রেম বা রসূল প্রেম উত্সারিত হয় অহর্নিশ। আর তাছাড়া হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর মত এত বড় বিশাল ব্যক্তিত্বের জীবনী লিখতে হলে অবশ্যই লেখক সত্তায়ও নবীজীর প্রতি এক অন্যরকম আবেগ, অনুরাগ ও ভালোবাসা বিরাজিত থাকতে হবে। আর তাছাড়া যেসব লেখক রসূল (স.) এর জীবনীকে কোমলমতি শিশুদের উপযোগী করে লিখতে চান তাদেরকে আরো বেশি রসূল প্রেমিক হওয়া বাঞ্ছনীয়। আমরা আজকে যে গ্রন্থটির ওপর আলোচনা করছি উক্ত গ্রন্থের লেখক প্রফেসর মোহাম্মদ আবদুল হালিম সাহেব দিবানিশি মুহূর্তে রসূল (স.) কে হূদয়ের মণিকোঠায় লালন করে চলেছেন। যার কারণে শিশুদের উপজীব্য করেই তিনি মহানবী (স.) কে উপস্থাপন করেছেন। যা শিশুদের চিন্তার জগতে অতি সহজেই আলোড়ন সৃষ্টি করবে নিঃসন্দেহে। প্রত্যেক অভিভাবক যদি তাদের সন্তানদেরকে শিশুবেলাতেই এই গ্রন্থটি তাদের হাতে তুলে দিতে পারেন তাহলে ঐসব শিশু বড় হয়ে কখনোই নিজেদেরকে কুফরে জড়াবে না, আল্লাহ বিরোধী কোনো কাজে সম্পৃক্ত হবে না। এই গ্রন্থটি ম্যাগাজিন সাইজে, আর্ট পেপারে চার কালারে চকচকা ঝকঝকা করে নান্দনিক কাভার দিয়ে মজবুত বাঁধায়ে বাজারজাত করা হয়েছে। যা প্রত্যেক জ্ঞান পিপাসুদের দৃষ্টি আকর্ষণ না করে পারবে না।
গ্রন্থটিতে লেখার সঙ্গে সঙ্গে মহানবী (স.)-এর স্মৃতি বিজড়িত দর্শনীয় স্থানগুলিও সন্নিবেশিত হয়েছে। গ্রন্থটিতে মুহাম্মদ (স.) এর জন্ম, শৈশব, ও কৈশোর, ফিলফুল ফুযুল, আল আমীন, মহানবীর মিরাজ, হিজরত, বদরের যুদ্ধ, ওহুদের যুদ্ধ, হুদায়বিয়ার সন্ধি, মক্কা বিজয়, বিদায় হজ্বের ভাষণ, মহানবীর ওফাত, আল্লাহর কুদরত ৯৯টা নাম, মুহাম্মদ (স.) এর কিছু পবিত্র নাম ও মুহাম্মদ (স.) এর বংশ তালিকা সুবিস্তারে আলোকপাত করা হয়েছে। আমরা চাই গ্রন্থটি সকল শিশুর পঠিত হোক।