উন্নত বিশ্বের মতো তুরস্কের নারীরাও কর্মক্ষেত্রে আর পিছিয়ে নেই। এখন শীর্ষ পদগুলোতেও আসীন হচ্ছেন অনেক নারী। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে নারী আসন সংরক্ষিত রাখার ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক যখন তুঙ্গে, তখন তুরস্কের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের প্রথম সারির পদগুলোর ২৬ শতাংশই মেয়েদের দখলে ? দেখা যাচ্ছে, নেতৃস্থানীয় পদগুলোতে নারী কর্মীর গড় সংখ্যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের চেয়ে তুরস্কে অনেক বেশি।—খবর ডয়চে ভেলের।
তুরস্কের শীর্ষস্থানীয় নারী ব্যবস্থাপক গ্যুলার সাবানজে জার্মান শিল্প প্রতিষ্ঠান সিমেন্সের সুপারভাইসরি বোর্ডে সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন সমপ্রতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগাজিন ফোর্বস-এর এক তালিকায় ২০১২ সালের ১০০ ক্ষমতাশালী নারীর একজন বলে গণ্য করা হয়েছে তাকে। ৫৭ বছর বয়স্ক সাবানজে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান সাবানজে হোলডিং-এ পরিচালন পর্ষদের প্রধান হিসাবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছেন।
তুরস্কের বৃহত্ মোবাইল ফোন সংস্থা তুর্কসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লালে সারাল ডেভেলিওলু নেতৃস্থানীয় এক সফল নারী কর্মী। আটটি দেশে ছড়িয়ে থাকা কোম্পানির শাখা প্রতিষ্ঠাগুলোর দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে 'তুর্কসেল ইউরোপ'। ডয়চেভেলের সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে লালে সারাল ডেভেলিওলু জানান, জার্মানি ও ইউরোপের অন্যান্য দেশে আমাদের সহকর্মীরা তুরস্কের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শীর্ষ পদগুলোতে নারী কর্মীর আধিক্য দেখে বিস্মিত হন। এজন্য আমরা গর্বিত। অবশ্য কর্মজীবনে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বড় বড় বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করতে হয় এখনো।
পশ্চিমা দেশগুলোর প্রচার মাধ্যমে তুরস্কের নারী প্রসঙ্গে প্রায়ই একটা নেতিবাচক চিত্র তুলে ধরা হয়। যেমন নারী বৈষম্য বা নারী নির্যাতনের খবরাখবরই প্রাধান্য পায় সেখানে। বিভিন্ন উঁচু পদে তুরস্কের নারীরা নির্বাচিত হওয়ায় তুরস্কের সমাজে নারীর স্থান সম্পর্কে সম্পূর্ণ এক অন্য চিত্র উঠে আসে।