চলচ্চিত্র তৈরি করেছি মনের আনন্দেই। এ নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে কাজের স্বীকৃতি পাওয়া অনেক বড় ব্যাপার। স্বপ্ন পূরণ হলো। এবার এগিয়ে যাওয়ার পালা।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে সপ্তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উত্সবের বিশেষ পুরস্কার পেয়ে এ কথাই বললেন তুষার চন্দ্র রায়। এ প্রতিযোগীর মত প্রায় একই অভিব্যক্তি অন্য ক্ষুদে চলচ্চিত্রকারদের। স্বপ্ন পূরণের সন্তুষ্টি এবং আগামীতে আরো স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রত্যয় নিয়ে শেষ হলো এবারের শিশু চলচ্চিত্র উত্সব। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চিলড্রেন্স ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ। এবার উত্সবে মনোনীত ৩২টি চলচ্চিত্র থেকে তিনটিকে সেরা এবং দুইটিকে বিশেষ পুরস্কার দেয়া হয়। প্রথম পুরস্কার পান আশফাকুর রহমান আশিক (চলচ্চিত্র- জাদুর কাঠি), দ্বিতীয় পুরস্কার পান ত্বাহা ইসলাম (লস্ট ইন পাস্ট), অনন্যা জামান নিশি (দ্য চেয়ার) পান তৃতীয় পুরস্কার। বিশেষ পুরস্কার পান সৈয়দা সামিয়া রহমান টুসি (ইনএনিমেট ওয়ার্ল্ড) এবং তুষার চন্দ্র রায় (শখের ঘুড়ি)।
সমাপনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, মানুষকে অনেক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই জীবন পথে চলতে হয়। এতে হাসি আছে, কান্না আছে। হতাশ হলে চলবে না। ভুল শুধরে আগামীর দিন সাজাতে হবে। তিনি উত্সবে অংশগ্রহণকারী সকলকে অভিনন্দন জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চিলড্রেন্স ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ'র সভাপতি লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, পেশা যাই হোক, সকলকে আগে ভালো মানুষ হতে হবে। অনেক কষ্টে এ দেশ পেয়েছি। দেশকে ভালোবাসতে হবে। আমাদের ভবিষ্যত্ প্রজন্ম সবকিছুর দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। আগামীর দেশগড়ার দায়িত্ব নিতে হবে। শিশুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ উত্সবে যারা অংশগ্রহণ করেছে সবাই প্রতিযোগিতা করেছে। তবে প্রতিযোগিতা বন্ধুর সাথে নয়, নিজের সাথে করতে হবে। তবেই ভালো কাজ করা সম্ভব হবে। নিজেদের মূল্যায়ন করতে পারবে।
উত্সবের পরিচালক মোর্শেদুল ইসলাম বলেন, এ বছর অন্য বছরের চেয়ে কিছুটা ছোট পরিসরে উত্সব হয়েছে। এর কারণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা। তবে আগামী বছরের ২৪ থেকে ৩০ জানুয়ারি উত্সব অন্য বছরের চেয়ে বড় হবে। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ইয়াসমিন হক, মুনিরা মোরশেদ মুন্নী, বাংলাদেশে মিসরের রাষ্ট্রদূত মাহমুদ ইজ্জত।