অর্থনীতিকে বাঁচানোর জন্য আমাদের দলমত নির্বিশেষে সবার এগিয়ে আসা উচিত। এ ক্ষেত্রটা সচল থাকলে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে। এছাড়াও লাখো মানুষের একমাত্র উপার্জনের জায়গাও এটা। হরতাল অবরোধে এটা বিপর্যস্ত হয় এবং পর্যটক নগরী থাকে পর্যটক-শূন্য বিদেশিরা না আসার কারণে। আমরা চাই সবার মুখে হাসি ও সচ্ছল অবস্থা, সাথে সাথে দেশের উন্নতি ও স্বাভাবিক অবস্থা। দেশের অর্থনীতির চাকা সবসময় সচল থাকুক। আমরা এগিয়ে এসে আর পিছিয়ে যেতে চাই না। এজন্য সরকারের উচিত জনগণের স্বার্থে যা ভাল তাই করা।
হাফিজুর রহমান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ।
===
অর্থনীতিই উন্নয়নের
চাবিকাঠি
অর্থনীতি যে কোন দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি ও মাপকাঠি। যে জাতি বা দেশ অর্থনীতিতে যত শক্তিশালী, সে জাতি বা দেশ তত উন্নত। বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমবর্ধমানহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে আমাদের দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরতে থাকলে একদিন ঠিকই এদেশ মধ্যম-আয়ের দেশে পরিণত হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একমাত্র তরুণ প্রজন্মই পারবে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে। তরুণদের পাশাপাশি সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে ও সকলে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। তরুণদের প্রচেষ্টা ও সকলের প্রয়াসই হতে পারে আমার, তোমার ও আপনার কাঙ্ক্ষিত সোনার বাংলাদেশ।
মো. আউয়াল মিয়া
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।
===
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা
থাকায় ঘুরে দাঁড়াচ্ছে
বাংলাদেশের অর্থনীতি
৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের পর দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসায় দেশের অর্থনীতিতে স্বস্তির পরিবেশ ফিরে আসার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হাল নাগাদ চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে দেশে ৮৪ কোটি ডলারের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে বিনিয়োগ ছিল ৭৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার। পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধিও বেড়েছে। গত ৬ মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৬ শতাংশের কাছাকাছি। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, বাংলাদেশের অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। দেশের অর্থনীতি আরো ভালো হবে এমন আশা আমাদের সবার। আমাদের দেশের সকল রাজনৈতিক দলের উচিত প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে সরে এসে মাটি ও মানুষের উন্নয়নে অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করা।
খায়রুল আলম
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
লেভেল-২, কৃষি অনুষদ
শহীদ জামাল হোসেন হল।
====
চলতি রাজনৈতিক
স্থিতিশীলতা
স্থায়ীকরণ
একটি দেশের প্রাণ অর্থনীতি আর অর্থনীতির চাকা বেগবান করার মূলচালিকা শক্তি বিনিয়োগ। বর্তমানে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় বিনিয়োগকারী তার বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে অর্থনীতির চাকা সচল করতে সক্ষম হচ্ছে। কেননা, বোমা, গুলি, হরতাল ভাঙ্গচুর জ্বালাও-পোড়াও নামের বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড ফের হচ্ছে না। কৃষি ও শিল্পের অনুপাত যত কম হবে অর্থনীতির চাকা তত বেশি ঘুরবে। সে অনুপাত নির্ভর করে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর। চলতি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা স্থায়ী হলে আরো বেশি হারে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব ।
মো: মোহাইমিনুল ইসলাম
অর্থনীতি বিভাগ ৩য় বর্ষ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
====
হরতাল না থাকায়
সচল হচ্ছে
অর্থনীতির চাকা
সহিংসতা ও সমৃদ্ধি- এই দুটি শব্দ একে অন্যের সমার্থক না বিপরীতার্থক তা আমরা বিগত কয়েকটি মাসের দিকে ফিরে তাকালেই বুঝতে পারব। ২০১৩ সালের শেষার্ধ ও ২০১৪ সালের প্রথমার্ধ্বের দিকে দৃষ্টি ফিরালে আমরা দেখতে পাই হরতাল ও অবরোধ-এর বিভীষিকায় ঘোরেনি গাড়ির চাকা, খোলেনি কল-কারখানার গেটের তালা, কর্মজীবী মানুষের পদচারণাই মুখরিত হয়নি নগরীর রাজপথ। যার ফলশ্রুতিতে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এফবিসিআই এর হিসাব মতে, হরতাল ও অবরোধে দেশের প্রায় ৭৫০-৮০০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। এই মুহূর্তে দেশের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়াই অর্থনীতির চাকা আবার সচল হতে শুরু করেছে। কিন্তু জনমনে আতঙ্ক থেকেই যায়, কতদিন থাকবে এই স্বাভাবিক অবস্থা? কখন আবার বন্ধ হয়ে যায় অর্থনীতির চাকা? তাই দেশের শ্রদ্ধাভাজন বিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের প্রতি সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে আমার আহ্বান, দেশ ও জনগণের শান্তি ও সমৃদ্ধির কথা বিবেচনা করে বন্ধ করুন সহিংসতার রাজনীতি, সচল রাখুন অর্থনীতির চাকা।
সঙ্গিতা সরকার
ব্যবসা প্রশাসন বিভাগ, ১ম বর্ষ, ২য় সেমিস্টার,
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।