শচীন-সৌরভ উত্তর ভারতের নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের অন্যতম সেরা বিজ্ঞাপন তিনি। বিরাট কোহলির পাশাপাশি ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন। কথাবার্তাতেও ব্যাটিংয়ের মতোই আক্রমণাত্মক সুরেশ রায়না। আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে নিজের ও দলের সম্পর্কে সোজা সাপটা সব কথাবার্তা বললেন—
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে তো গেইল-স্যামুয়েলস আছেন। এটাকে কীভাবে দেখছেন?
এমএস ধোনি, যুবরাজ সিংয়ের উপস্থিতি ভারতীয় দলে আপনারা কিভাবে দেখছেন!
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিগ হিটারদের নিশ্চয়ই একটা দুশ্চিন্তার ব্যাপার?
এটা সত্যি যে, ওদের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় আছে, যারা বড় বড় ছক্কা মারতে পারে। তবে একটা সুবিধা হল, স্পিনারদের বিপক্ষে কিভাবে স্টাইক রোটেট করে সিঙ্গেল বা দুই রান বের করতে হয়, এ ব্যাপারে ওদের ধারণা নেই। ফলে এটা ওদের বড় খেলোয়াড়দের ওপর আমাদের চাপ তৈরির ভালো একটা জায়গা হতে পারে বরং।
স্পিনাররাই তাহলে মূল শক্তি হতে যাচ্ছেন এই ম্যাচে?
বলা যায়। আমাদের হাতে মিশ্র আছে, ও সর্বশেষ ম্যাচটাতেই অসাধারণ বল করেছে। অশ্বিন ও জাদেজাও দারুণ বল করছে। তবে ব্যাপারটা হল, এই ফরম্যাটে নির্দিষ্ট দিনে, কে ভালো বল করছে, তার ওপর সব নির্ভর করে। আরেকটা ব্যাপার হল, টসে জিতে আমরা কী করতে চাই। হ্যা, এখানকার উইকেট-কন্ডিশন মাথায় নিলে স্পিনাররা বেশ বড় ভূমিকাই রাখবে। বিশেষ করে পাকিস্তানের বিপক্ষে আমরা যেমন বল করেছি, যেমনভাবে স্পিনের বিপক্ষে ব্যাট করেছি; তাতে আমি আশাবাদী।
আপনি তো খেললেন স্পিনারদের। আসলে কতোটা সহায়তা পাচ্ছেন স্পিনাররা?
এমন না যে, উইকেটে অনেক টার্ন আছে; অল্প কিছু টার্ন আছে। তবে শট করার সময় আপনাকে বলের নিচে যেতে হবে। আসলে খেলার সময় খুব পরিষ্কার মাথা রাখাটা জরুরী। যদি ভাবেন, মারবেন; তো মেরেই দেবেন। ৭ থেকে ১১ ওভারের মধ্যে স্টাইক রোটেক করতেই হবে। এ সময় দু একটা লুজ বলে চার-ছয় মারতে পারলে তো ভালো, নইলে সমস্যা নেই।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছেও তো সুনীল নারিনের মতো বোলার আছে।
অবশ্যই। পাকিস্তানের আজমল থাকলে, ওদের নারিন আছে। এই ফরম্যাটে আমার যেটা মনে হয়, দুই ওভার করে পরিকল্পনা করলেই চলে। কাকে ছাড়তে হবে, কাকে আক্রমণ করতে হবে, এটা ঠিক করে নিলেই চলে।
সৌরভের সঙ্গে ব্যাটিং নিয়ে নাকি কথা বলেছেন। কি কথা হল?
আমি দাদাকে ফোন করেছিলাম। দাদা হল কথা বলার জন্য সবচেয়ে মিষ্টি মানুষ। ও আমাকে ফুটওয়ার্ক নিয়ে কয়েকটা ব্যাপার বলে দিয়েছে। কিছু মানসিক ব্যাপারেও টিপস দিয়েছে। আসলে এই কথা বলার বড় উপকার হল, মানসিক শক্তি বাড়ে। সামনে হয়তো দাদার সঙ্গে আরও বেশি বেশি কাজ করবো।
পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়টা নিশ্চয়ই একটা স্বস্তির ব্যাপার হয়েছে?
হ্যা, সেটা বলতে পারেন। পাকিস্তান দলে অসাধারণ কয়েকজন খেলোয়াড় আছে; এদের ক্রিকেটীয় চরিত্র অসাধারণ, মানুষ হিসেবেও ভালো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাঠে আমরা যখনই ওদের মুখোমুখি হই, সেটা এশিয়া কাপ হোক আর বিশ্বকাপ, 'ডু অর ডাই' ম্যাচে পরিণত হয়। পুরো দেশের জন্যই ওদের বিপক্ষে আমরা জিততে পারলাম কি না, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।