আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের এক প্রতিশব্দ ছিলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মইন খান। পাকিস্তান দলের কোচ হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে এসে বললেন—অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের উপায় হল আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলা। ভারতের বিপক্ষে হারের স্মৃতি ভুলে অস্ট্রেলিয়ার জন্য কতোটুকু প্রস্তুত তার দল, সে কথাই বললেন—
অস্ট্রেলিয়াকে স্পিনে কাবু করে ফেলা সম্ভব?
হতে পারে; খুব হতে পারে। তবে এটাও ঠিক যে, এই দলটা অনেকদিন ধরে ভালো ক্রিকেট খেলছে। তবে আমাদের স্পিনারদের ওপর আমার বিশ্বাস আছে। আমার ধারণা, তারা অস্ট্রেলিয়ানদের আটকে দিতে পারবে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কী বাড়তি একজন স্পিনার খেলবে?
দেখুন, এমনিতেই আমাদের দলে অনেক স্পিন অপশন আছে। এই ম্যাচে (ভারতের বিপক্ষে) আমরা শোয়েব মালিকের বোলিংটা ব্যবহার করিনি। কিন্তু অপশনটা তো আছে। হ্যা, বেঞ্চেও ভালো স্পিনার আছে। ফলে দেখা যাক, কী হয়। আসলে ওই দিন আমরা খেলার জন্য ঠিক কী ধরনের উইকেট পাই, তার ওপর নির্ভর করছে ব্যাপারটা। সেই সঙ্গে অবশ্যই আমরা প্রতিপক্ষ মাথায় রেখেই দল ঠিক করবো।
আপনার কী মনে হয়, স্পিনারদের এই দাপট দেখে অস্ট্রেলিয়া লেগস্পিনার মুইরহেডকে খেলাতে পারে?
অবশ্যই পারে। আমরা সেজন্য প্রস্তুত আছি। মিশ্র (ভারতীয় লেগ স্পিনার) তো নিঃসন্দেহে অসাধারণ বল করলো। ও এশিয়া কাপেও আমাদের বিপক্ষে উইকেট পেয়েছে। ফলে অস্ট্রেলিয়া একজন লেগ স্পিনারকে নামাতেই পারে। আমরা সেজন্য প্রস্তুত থাকছি।
আপনাদের জন্য এই ম্যাচ তো 'জিততেই হবে' একটা অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে?
আসলে আমরা শুরুর ম্যাচটা হেরে গেছি। তারপরও আমাদের দলের ক্ষমতার ওপর বিশ্বাস আছে আমাদের। আমরা খুব ভালোভাবে ফিরে আসার ক্ষমতা রাখি। আমি মানছি, এই ম্যাচ কেন, টুর্নামেন্টের এখন প্রতিটা ম্যাচই প্রথম হারের কারণে আমাদের জন্য কঠিন হয়ে গেছে। তবে আমার মনে হয় না, কোনো দলই সব ম্যাচ জিতে এই ফরম্যাটে সেমিফাইনালে যাবে। তারপরও আমরা প্রথম ম্যাচ হারায় চ্যালেঞ্জটা একটু বেশী।
অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের জবাবে আপনারাও কি আক্রমণাত্মক খেলবেন?
অবশ্যই। কাঁটা দিয়েই কাঁটা তুলতে হয়। আমরা সেটা করার জন্যই প্রস্তুত।
ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিংটা কী হতাশ করেছে?
আমি বলবো, পিচটা ড্যাম্প মতো ছিল। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার জন্য। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা পারিনি। তবে এটাও ঠিক যে, ভারতীয় বোলারদেরও প্রশংসা না করে উপায় নেই। অসাধারণ বল করেছে তারা। আমরা অন্তত ১৫০-১৬০ রান চেয়েছিলাম। সেটা হয়নি।
আফ্রিদিকে আরও আগে পাঠানো যেত না?
আমাদের পরিকল্পনা ছিল, ১০ ওভারের পর যখনই উইকেট পড়বে, ওকে পাঠাবো; ও প্যাড পরেও বসে ছিল। ১৫, নাকি ১৬ ওভারে উইকেট পড়ল; তাকে পাঠালাম। কখনো কখনো সে গিয়েই শট করে, আবার কখনো সেট হতে সময় নেয়। এটা তার মুডের ওপর নির্ভর করে। তবে আমাদের দিক থেকে আমরা তাকে ভারতের বিপক্ষে সঠিক সময়েই পাঠিয়েছিলাম।