দেশের নদী জলাশয়ের সুরক্ষা এবং দূষণ ও দখল রোধে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নয় দফা দাবি উত্থাপন করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশসহ (টিআইবি) বিভিন্ন সংগঠন। সোমবার বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি উত্থাপন করা হয়।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানবববন্ধনে টিআইবি ছাড়াও বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক (বাউইন), কাইমেট ফাইন্যান্স গভার্নেন্স নেটওয়ার্ক (সিএফজিএন), বাংলাদেশ ওয়াটার পার্টনারশীপ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ এর কর্মীরা অংশগ্রহণ করে।
নয় দফা দাবির মধ্যে হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষা, তুরাগ, বালু ও ধলেশ্বরী নদীর ভেতরে ওয়াকওয়ে ও সীমানা খুঁটি বসানো বন্ধ করে স্থায়ীভাবে নদীর প্রকৃত সীমা নির্ধারণ, পানিসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত ও পানিসম্পদ রক্ষায় জাতীয় পানি নীতির (১৯৯৯) দ্রুত বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ, নদী, হাওর-বাঁওড়, খাল-বিল, হরদ, জলাশয় ও জলমহালসমূহের বেআইনী দূষণ ও দখল বন্ধে দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণ, পানিসম্পদ কেন্দি ক সব ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে স্থনীয় জনগণের অধিকার এবং অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিতকরণ, পানির উত্সসমূহের দূষণ ও দখল রোধে বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগ, পশুর নদীর তীর থেকে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত্ প্রকল্পের স্থান সরিয়ে তা পরিবেশের জন্য নিরাপদ স্থানে স্থাপন অন্যতম।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, এশিয়ার ৪৯টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পানি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে অবস্থানকারী ৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
১৯৯৯ সালে প্রণীত বাংলাদেশের জাতীয় পানি নীতিতে ভূ-উপরিভাগের পানির যৌথ ব্যবহারের উপর জোর দেয়া হলেও শুধুমাত্র ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ভবিষ্যতে পানি নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে।