বিএনপি নেতারা বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গণহত্যা চালায়, ৪২ বছর পর এবার সরকার পুলিশ ও দলীয় ক্যাডার দিয়ে নির্বিচারে গুলি করে নিজ দেশের নাগরিকদের হত্যা করছে। এভাবে গুলি খেয়ে মরার জন্য এ দেশ স্বাধীন হয়নি। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র আজ হুমকির সম্মুখীন। আরও মানুষকে হত্যার জন্য বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রাখা যায় না। 'গণহত্যা' বন্ধ করতে এবং গণতন্ত্র রক্ষায় এ সরকারকে হটাতে হবে। এজন্য এখন প্রয়োজন দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ। এবারের স্বাধীনতা দিবসে এই দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হবার শপথ নিতে তারা দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে দলীয়ভাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় তারা এই আহ্বান জানান। বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এতে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি যাননি। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জিয়াউর রহমান-ই স্বাধীনতার ঘোষক। এনিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। এই সত্যকে আড়াল করতে আওয়ামী লীগ 'মিথ্যাচার ও ধূম্রজাল' সৃষ্টি করছে। জিয়াকে হেয় করতে আওয়ামী লীগ প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারে, কিন্তু ইতিহাস মুছে ফেলা যাবে না। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র আজ হুমকির সম্মুখীন। সীমান্তে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, সরকারের কোনো প্রতিবাদ নেই।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, '৭১ এর গণহত্যার মত বর্তমান সরকার নির্বিচারে গুলি করে মানুষ মারছে। এজন্য তো আমরা স্বাধীনতা চাইনি।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- গণস্বাস্থ্যের উপদেষ্টা ডা. জাফর উল্যাহ, বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, সালাউদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ।