অর্থনীতি একটি রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ছাড়া কোন রাষ্ট্রের উন্নয়নের কথা কল্পনা করা যায় না। উন্নয়নশীল রাষ্ট্র বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রের জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন অপরিহার্য। কিন্তু সম্প্রতি হরতাল, অবরোধ ও ভাংচুরের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। কিন্তু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর কারণে এই সকল সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে সাধারণ জনগণ, কৃষক ও ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই দেশের কর্ণধার ও রাজনীতিবিদদের উচিত দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করা। এতে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রগতি হবে এবং রাষ্ট্র তার উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখবে।
মোহাম্মদ হাসান আলী সরকার
তৃতীয় বর্ষ, ইতিহাস বিভাগ রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী।
রাজনীতির কালো থাবা
থেকে মুক্ত হোক দেশের
অর্থনীতি
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এ দেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনকালীন সময়ে একটানা হরতাল-অবরোধে দেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। এই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতির চাকা প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে। কিন্তু সামপ্রতিক সময়ে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হওয়ায় অর্থনীতি আবার অন্ধকার পেরিয়ে আলোর মুখ দেখছে। এমতাবস্থায় সর্বজন শ্রদ্ধেয় বিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের প্রতি সাধারণ জনগণের আকুল আবেদন অর্থনৈতিক উন্নতির পথে বাধা সৃষ্টি করে এমন রাজনৈতিক ও ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি পরিহার করে অর্থনৈতিক উন্নতির ধারা বজায় রাখতে দলমত নির্বিশেষ সকলে একত্রে কাজ করুন যাতে অর্থনৈতিক উন্নতির পথ সুগম হয়। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশের কাতারে যোগ দিতে পারে।
বহ্নি দাশ
ব্যবসা প্রশাসন বিভাগ,
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায়
দেশের অর্থনীতি এখন
উন্নতির পথে
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্থনৈতিক উন্নয়নের মোক্ষম হাতিয়ার। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, কোন দেশে স্থিতিশীল রাজনীতি ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। দেশের বিগত রাজনৈতিক অস্থিরতায় বাণিজ্যিক খাতগুলো মুখথুবড়ে পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে স্থিতিশীল রাজনীতির দরুন তা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকাংশে অগ্রসর হয়েছে। কৃষিখাতে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার গত বছরের তুলনায় এ বছর ৯.৫% বেড়েছে। এটা একটা কৃষিপ্রধান দেশের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। তবে এ ক্রমবর্ধমান উন্নতি টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন প্রত্যেক রাজনৈতিক অমীমাংসিত বিষয়ের একটি স্থায়ী সমাধান।
মো. রোকুনুজ্জামান তাহমিদ
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ (৩য় বর্ষ)
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী।
সব পেশাকে
এগিয়ে আসতে
হবে
স্বাধীনতার ৪৩ বছর পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা মোটামুটিভাবে মন্থরগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক সহিংসতা, হরতাল, অবরোধ, ভাঙ্গচুর ও একে অপরের প্রতি হিংসাত্মক মনোভাব আমাদের অর্থনীতির উপর ভীষণভাবে প্রভাব ফেলছে। কিন্তু একটি দেশকে সামগ্রিকভাবে উন্নত ও শক্তিশালী করার জন্য মূলমন্ত্র হচ্ছে এই অর্থনীতি। অন্যান্য দেশের অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমরা বহুগুণ পিছিয়ে। এ অর্থনীতিকে সচল ও চাঙ্গা করার জন্য দরকার সুষ্ঠু পরিকল্পনা এবং তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন।
মো: হাসিবুর রহমান সাফা
ভেটেরিনারি অনুষদ, লেভেল-০১
শহীদ শামসুল হক হল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
দেশের অর্থনীতি বাধা বিপত্তির পরও
ভালো অবস্থানে
বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ২০১৩ সাল খুব একটা সুখকর ছিল না। রানা প্লাজা ধস, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন কাঠামো এবং সর্বোপরি দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতায় মোটামুটি এক অস্থিতিশীলতা ও হুমকির মুখে পড়ে অর্থনীতি, বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্পখাত। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যখন অর্থনৈতিক খাতে সমৃদ্ধির পথে ঠিক তখনই এই অস্থিরতা দেশের আর্থিক ব্যবস্থাকে কোন দিকে নিয়ে যাবে তা সবার জন্যই এক চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধা কেড়ে নেয়া এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের বিকল্প তৈরি হওয়া এদেশের সবচেয়ে লাভজনক খাত গার্মেন্টস শিল্পকেও নড়বড়ে অবস্থায় নিয়ে আসে। কিন্তু এতসব ঘটনা-দুর্ঘটনা সবই ঘটে গেছে ২০১৩ সালে। ঠিক 'আনলাকি থার্টিন' বলতে যা বোঝায় আর কি? কারণ নতুন বছর ২০১৪ সালে আবারও শক্ত অবস্থানে বাংলাদেশের অর্থনীতি। সব মিলিয়ে আমরা বলতেই পারি, বাংলাদেশের লড়াকু জাতি, লড়াই করতে জানে। তাই দেশের অর্থনীতি হাজার বাধা-বিপত্তির পরও সেই বাধা কাটিয়ে উঠে আবারও সমৃদ্ধির পথে। ২০১৩ সালের পর মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি।