বৈশাখের কবিতাএবার নিঃশব্দ বাঁশির মতো ডাকি
মহাদেব সাহা
তোমাকে ডাকতে ডাকতে আমি মৌন পাহাড়, ডাকতে
ডাকতে উত্তাল সমুদ্র,
আমি তোমাকে ডাকতে ডাকতে মাতাল মৌমাছি,
ডাকতে ডাকতে নিস্তব্ধ আকাশ;
কোটি কোটি বছর আমি তোমাকে এভাবে ডাকছি
নদী শুকিয়ে গেলো, নগর ঘুমিয়ে পড়লো
পৃথিবীতে নেমে এলো শত শত শীতকাল,
আমি তোমাকে ডাকতে ডাকতে অস্থির জলপ্রপাতের
মতো গড়িয়ে পড়লাম।
এই জীবনে আর কতো ডাকা যায়, কতো হাহাকার
করা যায়?
আমি ডাকতে ডাকতে ভাঙাগলা নিঃসঙ্গ কোকিল,
ডাকতে ডাকতে বিষণ্ন হেমন্ত,
এবার শব্দ নয়, নিঃশব্দ বাঁশির মতো ডাকি।
===
আজ শুভ প্রভাতে
এ কে এম শহীদুর রহমান
আজ শুভ হোক দিবসের সূচনা প্রহর
জীর্ণতা মুছে দিয়ে—
জীবনের শুদ্ধতায় ভরে উঠুক নতুন বছর।
আজ শুভ প্রভাতে—
একটি বছর বেড়ে গেল আমাদের বয়স
এই পৃথিবীর বয়সের সাথে।
এই আলোবাতাস মুখরিত কলতান—
বয়ে আনুক প্রাত্যহিক সুখের খবর
প্রাপ্তির পূর্ণতায় ভরে উঠুক নতুন বছর।
=====
বৈশাখী শক্তির ঘুড়ি
কাজী রোজী
বৈশাখী শক্তির কাছে বারবার মিনতি আমার
সারাটা শরীর জুড়ে থাক, থাক অবিরাম আরবার
ফসলের মাঠ হোক খটখটে রোদ্দুরে ভরা
জল সেচে এনে দেবো জমিনের সুখ উর্বরা
শহরের বৈশাখে শিল্প-মেলার আয়োজন
কালবোশেখির কাছে কখনো তা হয় ম্রিয়মাণ
রমনার বটমূলে হাজার গানের পাখি জড়ো হয়
দারুণ রুদ্রতাপে রবীন্দ্রসরোবরে সুখ বয়
মাটির পুতুল-মেলা সানকিতে পান্তা লবণ
নাগরদোলার রথে শিশুদের মনের ভ্রমণ
বাঁশির সুরের সাথে ডুগডুগি বাজায় ওরা
রেশমি চুড়ির হাতে লাল ফিতে পুঁতির মালা
বৈশাখী শক্তির কাছে এবারেও সেই দাবি রাখি
ঘুরে ঘুরে ঘরে ঘরে উড়ে যাক বাংলার পাখি
বাঙালির চেতনায় বৈশাখী সবগুলো দিন
আনন্দ পারাবারে রঙিন ঘুড়ির মতো উড্ডীন।
=====
বৈশাখের কাছে প্রার্থনা
নাসির আহমেদ
স্মৃতি ফুঁড়ে জেগে ওঠে সবুজ স্বপ্নের দিন পয়লা বৈশাখ
বৈশাখী মেলার বাঁশি বেজে ওঠে স্নায়ুকোষে, মেঘে শুনি ডাক
গুরুগুরু বৃষ্টিধারা আকাঙ্ক্ষার মাটি শোনে শুধু সম্ভাবনা
সুদূর শৈশব থেকে ধেয়ে আসা বৈশাখীর সেই কালো ফণা।
এখনো বৈশাখ মানে শুধু বৃষ্টি আশা? আর চৈত্রে ফাটা মাঠ
এখনো বৈশাখ মানে স্বপ্নাহত কৃষকের খেয়াহীন ঘাট?
দিন যায় মাস যায় বছর পেরিয়ে যায় কুহকিনী আশা
চৈত্রের মাঠের কাছে কেবলই ছড়িয়ে যায় বৃষ্টির পিপাসা।
এবার বৈশাখে তবে বৃষ্টি হোক স্নিগ্ধ বৃষ্টি পেলব কোমল
মাটিকে করুক শস্যবতী রমণীর মতো মায়াবী সজল
দৃষ্টির লাবণ্য মুগ্ধ করুক, আসুক ফিরে আকাঙ্ক্ষার দিন
দূর হোক দুঃখদৈন্য, হালখাতা খুলে তুমি মুক্ত করো ঋণ।
এবার বৈশাখ হোক ধ্বংসের ওপরে সৃষ্টি জাগানিয়া মাস
ফুলে ফুলে সুশোভিত নকশীকাঁথার মতো, এমন কি নিঃস্ব ঘাস
সে-ও যেন সজীবতা ফিরে পায় এবার বৈশাখে
ভরে থাক চরাচর নতুন আনন্দধ্বনি সুরতোলা ঢাকে।
বৈশাখী ঝড়ের কাছে এবার রেখেছি এই তীব্র আবেদন
ধ্বংস করো অন্ধকার, আলোয় ভরুক প্রিয় স্বদেশ অঙ্গন।
======
বরষের তালপাতা
খালেক বিন জয়েনউদদীন
শ্রীমতী খনার কথামালা বরষের তালপাতায় লেখা
সভাসদগণ বলেছেন অশ্বথ গাছের ছায়ায়—
ক্লান্তিহীন খনাও তাকিয়ে আছেন সংশয়ভরা আকাশের দিকে
আজ তার প্রবচন পরীক্ষার দিন।
উদ্দাম ঝড়ো বাতাসে খনা কাঁদলো, দীর্ঘ বিরহের পর
মেঘকুমারী ঝরালো বাণী ও প্রবানের অশ্রু বিন্দু
খনার জটবাধা ধূসর কেশে বৃষ্টির ফোটা ফোটা স্বর্ণকণা
চোখেমুখে মুক্তির অভিমাণ এবং প্রাপ্তির প্রচ্ছায়া।
খনা এখন দুরন্ত প্রকৃতিবালা তার পেছনে ছুটছে
সভাসদরা পালালো অন্ধকারে। খনা আজও মূর্তিমতী।
=====
সম্পর্কের নদীজলে
রেজাউদ্দিন স্টালিন
আমাদের সম্পর্কের নদী
কোনো সেতুর বশ্যতা স্বীকার করে না
স্বাধীন স্বাচ্ছন্দ্য তাকে ঘিরে থাকে
মেঘের মিথুন—এপার ওপার
উচ্ছ্বাসে জলোচ্ছ্বাসে আমাদের নদীটি নিয়ত
জন্ম ও মৃত্যুর কাছে উপগত হয়
আনন্দে আবেগে কাঁদে
দুঃখেও কাঁদে
এমন কান্না যেন ঈশ্বর না শোনে
একমাত্র ঈশ্বরই পারে আমাদের সম্পর্কের নদীর ওপরে
ভয়াবহ সেতু গড়ে দিতে
যাকে কেন্দ্র করে মারাত্মক আণবাস্ত্র
ধ্বংস ও বিনাশ পার হবে
আমরা দু'জন ঈশ্বরের দৃষ্টি এড়িয়ে সূর্যোদয়ের আগে
সম্পর্কের নদীজলে ডুবি দিয়ে থাকি
আমাদের আধুনিক প্রতিরোধ দেখে
শিক্ষিত ডুবুরিও ঈর্ষা করে দূরে সরে যায়
আমরা জলে বাস করে সোনালি মাছের সাথে সম্পর্ক গড়েছি
আর হাঙরের সাথে তীব্র বিরোধিতা করে বেঁচে আছি
দূরবর্তী দুই তীরে জন্ম ও মৃত্যুর রহস্যজনক চোখ
সেতুর বিরুদ্ধে পাহারায় থাকে
মাঝখানে আমাদের অনন্ত সম্পর্কের নদী বয়ে যায়
=====
বিহ্বল যাত্রী
মারুফ রায়হান
আজও এসে দাঁড়িয়েছি চিরচেনা এই বাসস্টপে
দুটি নম্বরঅলা দুটো দূরপাল্লার বাস আসছে-যাচ্ছে
যাদের যাওয়ার তারা চটজলদি উঠে পড়ছে
আমি শুধু জানি গন্তব্য দুটোর আসল পরিচয় :
বিষাদপুর ও সুখপল্লী
বিষাদপুরে আমি ছিলাম সহস্র বছর
রক্তে-অশ্রুতে মাখামাখি এক ডাকাবুকো নরক
সুখপল্লীতেও কেটেছে আমার কোটি সন্ধ্যা
হাসি আর তৃপ্তির যুগলবন্দিত্বে
কোন চুলোতে যাব, সে দোনোমোনো নয়
আসলে একটায় তো সিঁধোয় সব্বাই!
যদি না উঠি বাসে, যদি কোত্থাও না যাই
একটা বিহ্বল বিন্দুতে যদি দাঁড়িয়ে থাকি
একটা অবিচল দারুচিনি গাছের মতো
কিংবা কম্পাসবিহীন সাম্পানের মতো
সর্বোপরি তোমাদের ঈশ্বরের মতো!
=====
ঘুম
চৌধুরী ফেরদৌস
তুমি কি এখনো জেগে—এই রাতে একা-একা?
পড়াশোনা নাকি বিগত জীবন নিয়ে ঘাঁট?
হয়তো গভীর ঘুমে—
জল্পনা-কল্পনা;
নতুন জীবনে তুমি হাঁট।
হেঁটে-হেঁটে ভুল করে কখনো যদি-বা তুমি
পুরনো জীবনে ফিরে আস
দেখবে—বছর শুরু—বৈশাখী মেলা বসে গেছে।
এই মেলা ভাঙে না কখনো—
যতবার ভেঙে দাও
ততবার ঘুরেফিরে আসে।
হায় বৈশাখ!
দূরে থাক, দূরে থাক—
থাক তুই চিরতরে দূরপরবাসে।
তুমি কি এখনো জেগে—এই রাতে একা-একা
নাকি ঘুমঘোরে?
যেভাবে ঘুমালে পরে আমাকে পড়ে না মনে;
যেভাবে ঘুমালে পরে আমার হূদয় হায়
তামাকের মতো শুধু পোড়ে।
======
একটি চুক্তিপত্রের বিষয়-আশয়
শাহাবুদ্দীন নাগরী
তোমার সঙ্গে আমি একটা চুক্তি করতে চাই, এই নাও টাকা,
মাকড়সার মতো তুমি বিছিয়ে রেখেছো তোমার হাত চারিদিকে,
ছুঁতে পারো আকাশ, আমিও আকাশ ছোঁবো, শীতল মেঘের স্লাইস
দিয়ে ভিজিয়ে নেবো ঠোঁট, তুমি আমাকে নিয়ে যাবে গহীন অরণ্যে,
একমুঠো অন্ধকার আমি তুলে রাখাবো মানিব্যাগে, শরীরের জ্যামিতি
ভাঙার জন্য তুমি আমাকে নিয়ে যাবে ব্রোথেলে, উষ্ণ শরীর থেকে
আমি গড়িয়ে দেবো তরল পারদ, শাড়ির ভাঁজ খোলার জন্য আঙুলের
ম্যাজিক তুমি শিখিয়ে দেবে, আমি মধুর ভাণ্ডার থেকে আকণ্ঠ তুলে নেবো
অমৃতের স্বাদ, দরোজা খোলার মতো ব্লাউজের হুক খুলে দেখবো
ঘরবাড়ি, শয্যার নকিশকাঁথা থেকে গড়িয়ে পড়বে ছোট ছোট ফুল,
আমি তোমার কাছ থেকে শিখে নেবো জলসেচের কার্যক্রম, অনুর্বর
কৃষিজমি কীভাবে ধারণ করে বীজের জীবন আমি জানতে চাই,
তোমার সঙ্গে আমার চুক্তি হবে নক্ষত্রের মেলায়, গোপন চাবির
একগোছা তুলে দেবে আমার হাতে, আমি আকাশের পর আকাশ
খুলে খুলে দেখবো কতোগুলো সিঁড়ি সাজানো আছে প্রস্থানের মহাসড়কে,
আগুনে ঝাঁপ দেবার জন্য দুই হাত কতোদিনে ডানায় রূপান্তরিত হয়।
রাজি হলে এসো আমরা স্বাক্ষর করি চুক্তিপত্রে, এই নাও কড়কড়ে টাকা।
======
অপ্রকাশিত
আলফ্রেড খোকন
এক.
ডানহাতের কাছে বামহাত আজও ভোরে অপ্রকাশিত থাকল
তোমার বাড়ি থেকে স্কুলে যাবার পথটি এখন জনসমাগম;
যদিও আড়াল থেকে বেরিয়ে পড়লে তুমি প্রকাশের ভাষায়
আরও বেশি আড়াল ঢুকে পড়ল আমাদের যৌথ সম্ভাবনায়
চোখ থেকে চাহনিরা খুলে পড়ছে ইলিশের ঝাঁকে ঝাঁকে—
এখনও জিহ্বার আড়ষ্টতা ভাষার লালায় ভিজে উঠল না।
দুই.
বাথরুমে জলের মুখোমুখি প্রকাশিত এই আমি ভোরবেলা—
দুপুর-সন্ধ্যা-রাত্রি গড়ায় তবু অপ্রকাশের ভার নিতে নিতে;
চিবুকের তিলভাগ ছাড়া প্রকাশের লালায় একটুও ভিজল না
বৃষ্টিরা ভিজে গেল নিজে নিজে ধুলো ভিজল পায়ের তলায়
রাত্রিরা ভিজে থাকল বিছানা চাদরে যাত্রীরা বাসের হাতলে
একটা জন্মের পেছনে কেন নিত্যরাতে মৃত্যুর পাহারা গলে
তিন.
পাঁচটি আঙুলকে যখন একত্রে পরিচয় করিয়ে দিতে চেয়েছি
ক্রমশ একটি আঙুল পিছে পড়ে যায় অন্যদের ভিড়ের চাপে
তখন তার প্রকাশনার তারিখ পিছিয়ে যায় তোমার নৈঃশব্দে
একটি মাছরাঙা প্রকাশিত হয়েছিল বাম চোখের চাহনিতে ;
পুকুরে একটি তেলাপিয়া মাছ পাউরুটি মাখা শিশুটির হাতে
তুমি প্রকাশিত হতে চেয়েছিলে বাম পাঁজরের একখানা হাড়ে
একটা ভোর প্রকাশিত হবে তাই সুদীর্ঘ রাত্রিরা ক্রমশ বাড়ে।
======
এসেছিলে ফ্লাশ মব-মেজাজে
জাহিদ হায়দার
দিয়ে গেলে গান, নাচের ক্ষণদ্যুতি;
হূদ-শহরে থামে না বজ্রপাত,
ঝগড়া করে বিখ্যাত অনুভূতি।
আমাকে বাঁচায় দ্বন্দ্বের সংঘাত,
তোমাকেই জানি মিথ্যের বিপরীত;
চেতনায় জ্বলে অন্বেষণের গতি।
আমি সাধি গান, হয় না সংগীত;
তাকায় না দ্রোণপুষ্পে সরস্বতী।
পাথর-পথে আমার দুটি পা,
শূন্য-দেশে হাতের ঊর্মি-প্রভা,
রাত্রিদিন নাচের বিভ্রমে
খোঁজে তোমার দ্যুতির দক্ষিণা।
সারাদিন হাঁটি বেইলি রোডের ঘামে,
সঞ্চয় করি গরিবের প্রস্তুতি;
জানে না কেউ, জনতার অংশ;
হঠাত্ কখন নীল বিদ্যুত্ নামে।
অপেক্ষা কাঁদে, আমাকে নৃত্য করো;
আসবে কখন? সংগীত দাও হূদে।
বিয়াত্রিচে, আমাকে দেখবে না ?
তোমার দান্তে পুড়ছে পথের পথে।
======
বোশেখি তাণ্ডব মাতম তোলে
রাহমান ওয়াহিদ
পাঁজরের শ্যামল শ্যাওলা ছুঁয়ে যে ধূপছায়া কষ্টটা
প্রায়ই নির্ভার একাকী হেঁটে যায়, তাকে আমি
আঁতুড় থেকেই নষ্ট নাম ধরে ডেকে এসেছি।
ওপারে সুখহরা মরা নদী নান্দনিক সুখজলে ভাসে
আর এপারে ঘামজল শরীর কাঁপে ঘন নীল নিঃশ্বাসে
তারই মধ্যিখানে আশ্চর্য হেঁটে যায় উদ্বাস্তু কষ্টটা
যাকে আমি তরল ঘেন্নায় নষ্ট করতে চেয়েছি শতবার।
আগুন পোড়া রোদ যখন মাঠের খরানি পলি ফাটায়
আর বোশেখি তাণ্ডব শীত বসন্তের ছায়া সরিয়ে
বেঢপ মাতম তুলে বেতালের মৃদঙ্গ বাজায়, তখনও
অদ্ভুত কষ্টটা তারই মধ্যে মেলে দেয় রঙধনু, ময়ূরী বিকেল।
======
তৃষ্ণার থৈ থৈ বিল
অতনু তিয়াস
পুনই বিলের উত্তর সিথানে দাঁড়িয়ে আছে যে বুড়ো বট
সে জানে, আমার পূর্বপিতা কখন এই দোআঁশপল্লিতে
ফেলেছিলেন প্রথম লাঙল
কতটুকু ঘামনূনে সবুজ এই সমতলে
বেঁধেছিলেন খড়চালা ঘর।
এই বুড়ো বট জানে
পুনইয়ের কৃষ্ণজলে রুপালি পুঁটির ঝাঁকে
কতবার ডুব দিয়েছে পানকৌড়ি মন
অবুঝ বড়শিতে এই হাত জলের হূদয় কতবার করেছে হনন
আজ আমার তৃষ্ণার থৈ থৈ বিলে ফুটে আছে অসংখ্য নীলপঞ্চ
জলের মগ্নতা ভেঙে লাফিয়ে উঠছে অজস্র পুঁটি মাছ!
======
নির্ভরতা
মাসুদ পথিক
তো বোকাদের কাছে চেয়ে নিতে পারো কিছু সভ্য সুষমা
যদি না-থাকে তোমার জীবনে সরল কোনো উপমা
মূর্খ সন্তানের কাছে শেষ পর্যন্ত পেয়ে যাবে নির্ভরতা
যারা ভেবে নাও কেবল চালাকের কাছে থাকে সুখ-বার্তা
তাদের এই মিথ্যে বিজয়গাথা বেশি দূর যাবে না
শ্রম-নির্ভরতা ছাড়া পৃথিবীতে কোনোদিন কিছুই ছিল না
ফলে পিতার সংগ্রামী দুই বাহুতে কর্তব্যের মৌন-ভার
চাষার দেশে বাস্তু-বাতায়ন ভেদে বোকাবোকা রোদ আসে, আর
======
মাঙ্গলিক
পিয়াস মজিদ
মরচে পড়া বসন্ত অস্ত যায়
জীবনবাগানে;
বিদায় তবে ফাঁপা ফুলের স্তব।
হাজামজা করুণ জন্মের
দক্ষিণা চাই না আর,
বৈশাখ তোমার,
স্বর্ণধূলির ঘূর্ণিতে
মৃত্যু যদি হয়
অমলদীপ্ত
তবে তাই হোক;
নীরক্ত হূদয়ঋতুতে
জন্ম নেবে এবার
সহস্র রক্ত-নববৈশাখ।
======
বর্ষশুরুর পদ্য
শুভাশিস সিনহা
মাটির ভেতর মুখ লুকিয়ে
একটি শস্যকণা
লাঙলটারই মুখের ডগায়
বলেছে, আসব না।
হলুদ হলুদ রঙের ছেলে-
মেয়ের দলে মাঠ
ছলছলিয়ে উঠল ভরে
তখন অকস্মাত্।
আকাশে শেষ-চোইতের মেঘ
ভাঙা হাটের গান
ঝড়ের সর্বনাশের হাসি
উছলেছে ঈশান।
হলুদ সোনা শস্যকিশোর-
কিশোরীদের ভিড়ে,
বৈশাখ এল রক্তাভ তার
বিদ্যুতে পথ চিরে।
|
|
|
|
|
|
অনলাইন জরিপ আজকের প্রশ্ন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, 'দেশ আজ বন্ধুহীন হয়ে পড়েছে। এদেশে বিদেশিরা বিনিয়োগ করছে না'। আপনিও কি তাই মনে করেন? ফলাফল
আজকের নামাজের সময়সূচী জানুয়ারী - ১৫ ফজর | ৫:২৩ | যোহর | ১২:০৮ | আসর | ৩:৫৭ | মাগরিব | ৫:৩৬ | এশা | ৬:৫৩ |
সূর্যোদয় - ৬:৪২সূর্যাস্ত - ০৫:৩১
বছর |
:
|
|
মাস |
:
|
|
|