সেন্টমার্টিন দ্বীপে সাগরে গোসল করতে নেমে ঢাকার আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিখোঁজ ৪ ছাত্রের এখনো খোঁজ মেলেনি। আজ মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত তাদের খোঁজ পায়নি ডুবুরিরা।
আজ সকালে সেন্ট মার্টিন কোস্টগার্ড স্টেশনের কমান্ডার লে. শহিদ আল আহসান জানান, নিখোঁজ হওয়া চারজন ছাত্রকে উদ্ধারের জন্য নৌবাহিনীর ডুবুরি দল, কোস্টগার্ড, সাগরে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন বিভিন্নভাবে তল্লাশি চালাচ্ছে। এছাড়া দুটি টানা জাল, ১০টি সিপডবোট ও ছয়টি ট্রলারের মাধ্যমে উদ্ধারকাজ চলছে। তবে ওই ছাত্রদের এখন পর্যন্ত কোন সন্ধান মেলেনি।
গতকাল সোমবার বেলা দুইটার দিকে সেন্ট মার্টিনে সমুদ্রে গোসল করতে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়। তারা হলেন মফিজুল ইসলাম ওরফে ইভান (২৩) ও সাদ্দাম হোসেন ওরফে অঙ্কুর (২৩)।
এ ঘটনায় উদয় মাহমুদ, শাহরিয়ার কবির নোমান, সাব্বির হাসান ও গোলাম রহিম বাপ্পি নামের চারজন শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রসাশন। সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এলসিটি কুতুবদিয়া জাহাজের করে ঢাকার আহসানউল¬াহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগে শেষ বর্ষের ৩৪ জন শিক্ষার্থী সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে আসে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা দ্বীপের বাজার এলাকায় সেন্ট সোর রিসোর্টে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়। পরে বেলা দুইটার দিকে কয়েকজন ছাত্র দ্বীপের জেটি ঘাটের উত্তর-পূর্ব পাশে প্রিন্স হ্যাভেন পয়েন্ট দিয়ে গোসলে নামেন। এসময় স্রোতের টানে ভেসে গেলে তারা হইচই শুরু করে। পরে স্থানীয় লোকজন এবং কোস্টগার্ড সদস্যরা ৫ জনকে উদ্ধার করে। তাদের স্পিডবোটে করে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে আনা হলে সাড়ে ৩টায় দুইজনকে চিকিত্সক মৃত ঘোষণা করেন। অন্য তিনজন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মুজাহিদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সের্ন্টমার্টিন সমুেদ্র গোসল করতে নেমে ২জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের লাশ কক্সবাজার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ওখান থেকে লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং নিখোঁজদের অনুসন্ধানে সমুদ্রে একাধিক ঠিম তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।