গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে আটজন পুলিশসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা থেকে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষ চলাকালে শহরের দোকানপাট ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৬১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও ৩ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তাত্ক্ষনিকভাবে আটককৃতদের নাম জানা যায়নি।
জানা যায়, আজ দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্ধারিত সমন্বয় সভায় নব নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর অনুষ্ঠান ছিল। এ উপলক্ষে সকাল থেকে উপজেলা পরিষদ চত্বর এলাকায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াত এবং দলগুলোর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেয়। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর বেলা পেনে ১২ টার দিকে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মিছিল বের করে। এ সময় ঐ মিছিলে কে বা কারা ঢিল ছুড়ে মারে। এতে তারা সেখানে অবস্থান নেওয়া বিএনপি- জামায়াতের নেতাকর্মীদের দিকে তেড়ে আসে। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ত্রিমুখি সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৬১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও ৫ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে আটজন পুলিশসহ সকল পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরে দেড় ঘন্টা পর বেলা দেড়টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আহতরা হলেন, গোবিন্দগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জাকির হোসেন, পুলিশ কন্সস্টেবল বদ্ধুদেব চন্দ্র, রেজাউল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, আজগারুল ইসলাম, আব্দুল লতিফ, সাইদুল ইসলাম, আবু সুফিয়ান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল আহম্মেদ বুলবুল, ছাত্রলীগ কর্মী সালাউদ্দিন, সোহেল, আবুল মিয়া ও ছাত্র শিবির নেতা পলাশ। অন্যদের নাম জানা যায়নি। তাদের সবাইকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি এবিএম জাহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
প্রসঙ্গগত, প্রথম পর্যায়ের অনুষ্ঠিত নির্বাচনে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফারুক কবির আহম্মেদ ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী উপজেলা জামায়াতের সদস্য নুরুন্নবী প্রধান নির্বাচিত হন।