সন্ত্রাস আর চাঁদাবাজির কারণে জনমনে নেই কোনো নিরাপত্তা। এসব সত্যিই খুব ভাবার বিষয়। যেন অন্ধকার এক গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে দেশ! যে দিকেই কান পাতি শুধু নষ্টের জয়ধ্বনি শোনা যায়। কবে হবে উত্তরণ, কেউ জানে না। অনেকেই শুধু চোখে দেখে যান নীরবে, কিছুই করার নেই তাদের। কিন্তু এতসব সত্ত্বেও এদেশের তরুণরা হতাশ নন। এসব বাধা থামাতে পারে না তাদের পথচলা। দিব্যি এগিয়ে চলছেন তারা। এদেশের তরুণের দেহে বয়ে যায় ৫২' আর ৭১'এর রক্ত ধারা। হয়তো সেই দিন আর খুব বেশি দূরে নয় যেদিন দেশের উন্নয়নের বিপ্লব ঘটবে এদেশেরই তরুণদের হাতে। আমাদের অতীত ইতিহাস তাই সাক্ষ্য দেয়।
শিহাব আহমদ শাহ
বি বি এ, ১ম বর্ষ ২য় সেমিস্টার, শাহ্?জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
০০০০০০০০০০০
তরুণরা হতাশ
নয়, কোনদিন
হবেও না
যাদের লেখনি তরুণ সমাজকে উত্সাহ-উদ্দীপনার উদ্বেগ জন্ম দেয়। জন্ম দেয় তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের ক্ষেত্রগুলোকে। প্রবীণদের উত্সাহ আর তরুণদের শক্তি একটি দেশ, জাতি, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের পূর্ণ অধিকারের প্রতীক। তরুণ শক্তি যদি সুসংবদ্ধ থাকে। প্রতিকূলতা পরিস্থিতিতে ধৈর্যধারণ করে। সমষ্টিগত শক্তির ন্যায্য বিকাশ ঘটায়। তাই তরুণদের জীবনে হতাশা, হতভম্ব, আশাহীনতার কোন ঠাঁই নেই। এক একটি তরুণ এক একটি স্ফূলিঙ্গ। এক একটি বিচক্ষণ। এক একটি দুর্গম পথের পথযাত্রী। যার শরীরে তরুণ্য আচ্ছাদিত প্রতীক রক্ষিত থাকে। সে কখনো হতাশ নয়। কোন দিন হতাশ হওয়াও যাবে না। কারণ পৃথিবীর সকল স্থান তার জন্য উন্মুক্ত।
মো: তোরাব আলী
নৃবিজ্ঞান বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
০০০০০০০০০০০০০
তরুণ সমাজ
হতাশ মানে সে
জাতিই হতাশ
তরুণ সম্প্রদায় যে কোন দেশের জন্যই উত্কৃষ্ট সম্পদ। তারাই জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। তরুণ সমাজ এমন সব কাজকর্ম করতে আগ্রহী ও উত্সাহী হয়, যাতে উদ্যমতা, বীরত্ব, বিপ্লবাত্মক, রোমাঞ্চকর ইত্যাদি ধরনের আবেগ ও অনুভূতি বিদ্যমান থাকে। এই উদ্যমতা, আবেগ ও অনুভূতিকে যদি সঠিকপথে পরিচালিত করা না যায়, তাহলে তরুণ সমাজের মধ্যে হতাশা আসবে, হতাশা আসবে জাতির। তাই তরুণ সম্প্রদায়ের উন্নয়নের কথা আগে ভাবতে হবে। তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক, মানসিক, দৈহিক, নৈতিক তথা সার্বিক উন্নয়নের দিকে নজর দিতে হবে যাতে একটি তরুণও পথভ্রষ্ট না হয়। কিন্তু আজ দুঃখের সাথে বলতে হয়, আমাদের সমাজ, সরকার, বিরোধীদল, সুশীল সমাজ যে যা-ই বলুন না কেন তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এ সমাজকে ব্যবহার করে আসছে। যার ফলে সমাজে বেকারত্ব, অনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়েই চলছে। আমাদের তরুণ সমাজে চাকরি সংক্রান্ত হতাশা থাকলেও তাদেরকে যদি উদ্যমী, প্রত্যয়ী, উদ্যোক্তা এবং কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করা যায় তবে এ ক্ষেত্রে সফলতা পাওয়া সম্ভব। হতাশাকে ঝেড়ে ফেলে সফলতা আনয়নই তো আসল বীরত্ব। আর তরুণ সমাজ হতাশ হোক তা কোন দেশ ও জাতিরই কাম্য নয়।
শাহজাহান আলী মূসা
মাস্টার্স (ফাইনাল)সমাজকর্ম সরকারি বাঙলা কলেজ, ঢাকা।
০০০০০০০০০০০০০০০
হতাশার বেড়াজাল থেকে
তরুণ সমাজকে বের
করতে হবে
একটি দেশের উন্নয়নের জন্য তরুণ সমাজ একটি বিরাট ভূমিকা পালন করে। এই তরুণেরাই যদি হতাশায় ভুগে তাহলে দেশের উন্নয়ন কিভাবে সম্ভব? মা-বাবা তাদের সন্তানকে জোর করে ডাক্তার বা প্রকৌশলী বানাতে চাচ্ছে। কিন্তু তার হয়তো অন্য কিছু হওয়ার ইচ্ছা ছিল। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে দেখা যাচ্ছে বন্ধু বন্ধুর হাতে খুন হচ্ছে। লবিং ছাড়া চাকরি পাওয়া যেখানে দুষ্কর সেখানে উচ্চ শিক্ষিতরা যাবে কোথায়? ফলে অনেকে বেছে নিচ্ছে কালো রাস্তা। হতাশার বেড়াজাল থেকে তরুণ সমাজকে বের করতে হলে প্রয়োজন দুর্নীতিমুক্ত একটি বাংলাদেশ।
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী।
০০০০০০০০০০০
তরুণ সমাজকে হতাশাগ্রস্ত
না হয়ে দেশ গড়ার
পদক্ষেপ নিতে হবে
আমরা তরুণরা দুর্বার তারুণ্যের প্রতীক। কোনকিছুতে পিছ পা হই না। মৃত্যুভয় তুচ্ছ করে এগিয়ে যাই বিজয়ের নেশায়। অসম্ভবকে সম্ভব করাই আমাদের লক্ষ্য। তাই দেশ গড়ার শপথ নিয়ে কাজ করতে হবে। জীবন বাজি রেখে বিপদের মোকাবিলা করতে হবে। দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দেশ থেকে অরাজকতা বন্ধ করতে হবে। আর এসব কিছু করা একমাত্র তরুণদের পক্ষেই সম্ভব। তাই তরুণ সমাজকে হতাশাগ্রস্ত না হয়ে, দেশ গড়তে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
মিঠু দাস
বিবিএ ১ম বর্ষ, ২য় সেমিস্টার,
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।