তারুণ্যময় জীবনে লাইফস্টাইল, ফ্যাশন আর নানা বিষয় নিয়ে তরুণদের জন্য এক আলাদা জগত্
গ্রন্থনা :সাজেদুল ইসলাম শুভ্র
প ড়া র ব ই
সোনার কেল্লা
সত্যজিত্ রায়
বইয়ের কথা :কাহিনী গড়ে উঠেছে মুকুল নামে একটি জাতিস্মর বালককে কেন্দ্র করে। সুধীর ধরের ছেলে মুকুল ছয় বছর বয়সে পূর্বজন্মের স্মৃতিচারণ করতে থাকে। সোনার কেল্লার ছবি এঁকে মা-বাবাকে দেখায়। প্যারাসাইকলজিস্ট ডক্টর হাজরা মুকুলকে পরীক্ষা করে মুকুলের সঙ্গে পশ্চিম রাজস্থানে সোনার কেল্লার খোঁজে যেতে রাজি হন। মুকুলও এই ঘটনাপ্রবাহে পূর্বস্মৃতি ভুলে যায়।
কেন পড়বেন :'সোনার কেল্লা' সত্যজিত্ রায়ের একটি গোয়েন্দা উপন্যাস, যা পরবর্তীকালে চলচ্চিত্র রূপ দেওয়া হয়। বইটির প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেন সত্যজিত্ রায়। 'সোনার কেল্লা'য় লালমোহন বাবু'র (জটায়ু) চরিত্র প্রথম আত্মপ্রকাশ করে।
ছবির কথা :পল ব্রিকহিলের লেখা 'দ্য গ্রেট এস্কেপ' নামক বই অনুসরণে এই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়। এটি কোনো কাল্পনিক কাহিনী নয়, পুরোটাই সত্য ঘটনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির 'স্ট্যালাগ লাফট ৩' বন্দিশিবির থেকে ৭৬ জন বন্দীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা বর্ণিত হয়েছে চলচ্চিত্রটিতে। বন্দীদের এখানে নিয়ে আসার প্রথম দিনেই কয়েকজন পালানোর চেষ্টা করে কিন্তু বিফল হয়।
কেন দেখবেন :রিচার্ড অ্যাটেনবোরোর দারুণ অভিনয় আর স্টিভ ম্যাককুইনের নিজের করা চোখধাঁধানো মোটরসাইকেল স্টান্টের কথা না বললেই নয়। ভালো লাগবে দর্শকদের।
---
ফ্যা শ ন
এখন চাই টি-শার্ট
গরমের দিনে আরামের পোশাক বলতে টি-শার্ট। এটি তরুণ-তরুণী সবার কাছেই জনপ্রিয়। নকশার বৈচিত্র্য আর কাপড়ের কোমলতা—দুয়ে মিলে টি-শার্টের বাজার এখন তুঙ্গে। গোল গলা ও কলারসহ দুই ধরনের টি-শার্টই বেশ চলছে। তরুণ প্রজন্ম গ্যাভারডিন কিংবা জিন্সের সঙ্গে টি-শার্ট, শর্ট শার্ট বেশি পছন্দ করলেও বর্তমানে পলো টি-শার্ট বেশ জনপ্রিয়। টি-শার্টের নতুন প্যাটার্ন। অর্থাত্ টি-শার্ট যেমন রাউন্ড নেক ঠিক তেমনি পলো টিশার্টের বডি প্যাটার্ন টি-শার্টের মতো হলেও এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কলার, যা ফ্যাশন ট্রেন্ডে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। কালো রং অতিরিক্ত তাপ শোষণ করে। তাই কালোর বাইরে এসে বেছে নিতে পারেন উজ্জ্বল রংগুলো। তা ছাড়া যুগের সঙ্গে নিত্যনতুন ফ্যাশন ট্রেন্ডের সঙ্গে যুক্ত হওয়াও বেশ রোমাঞ্চকর।
---
কে না কা টা
ছাতা
একবার ভাবুন তো আপনার প্রিয় সঙ্গীটির কথা; যে রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে আপনাকে বাঁচায়, যার ছায়াতলে থেকে নিশ্চিন্তে পথ চলতে পারেন, যাকে ছাড়া গ্রীষ্ম-বর্ষার দিনগুলো একদমই চলে না। সেই ছাতার কিছু খবর দিচ্ছি। নানা রং ও নকশার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ছাতা পাওয়া যায় বাজারে। দামদরেও ভিন্নতা দেখা যায়। দেশি ছাতার মধ্যে শরীফ ও এটলাসের ছাতার জনপ্রিয়তা বেশি। এ ছাড়া রহমান, ফিলিপস, চেরি, র্যা লি ব্রাদার্স, মার্টিন, স্ট্যামফোর্ড, দত্ত, মুন, অ্যাপেক্স, নওয়াব, গোল্ডফিশ ইত্যাদি ব্র্যান্ডের ছাতা পাওয়া যায়। বাজারে দুই রকমের শরীফ ছাতা পাওয়া যায়। বড় কালো ছাতা ১৮০০ টাকা ডজন এবং ভাঁজযুক্ত ছাতার দাম প্রতিটি ২৩০ টাকা। এই ছাতাগুলো বেশ টেকসই।