ইন্টারপোলের সহায়তার নামে রাষ্ট্রের অর্থ নষ্ট করার দরকার নেই
..................... মওদুদ
ইত্তেফাক রিপোর্ট
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা ও ইন্টারপোলের সহায়তার নামে রাষ্ট্রের অর্থ নষ্ট করার দরকার নেই। উপযোগী সময় মনে হলে দেশের প্রয়োজনে তারেক রহমান নিজেই স্বেচ্ছায় দেশে ফিরবেন। আইনি প্রক্রিয়ায় সরকারের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা মোকাবেলা করবেন। তিনি বলেন, এ সরকার তারেক আতঙ্কে ভুগছে। তারেকের জনপ্রিয়তায় তারা ভীত হয়ে পড়েছে।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে 'তারেক রহমানের বিরুদ্ধে হাসিনা সরকার ও দুদকের অব্যাহত ষড়যন্ত্র এবং প্রতিহিংসার প্রতিবাদে' ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশন (এনআরএফ) আয়োজিত নাগরিক সভায় তিনি একথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিঞা, ঢাবির সাবেক প্রো-ভিসি আফম ইউসুফ হায়দার, সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম প্রমুখ।
ব্যারিষ্টার মওদুদ বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার আভাস পেয়ে সরকার আতঙ্কিত হয়ে এখন মনঃস্তাত্ত্বিক চাপে ভুগছে। এ জন্য একই ইস্যুতে সরকারের মন্ত্রীরা তিন-চার ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন। সরকারের ইঙ্গিতেই আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে তারেককে ফিরিয়ে আনার আদেশ দিয়েছে। তিনি বলেন, অনেক গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে দেশ। একদিকে ফ্যাসিবাদ আর অন্যদিকে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মধ্যপন্থি রাজনীতি। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের রাজনীতি সফল না হলে দেশ ব্যর্থ হয়ে যাবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে মওদুদ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি খারাপ কিংবা অগণতান্ত্রিক সরকার হয়ে থাকে, তাহলে যাদের মদদে ক্ষমতায় এসেছিলেন কেন সেই ১/১১ সরকারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি।
ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিঞা বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।
ড. এমাজউদ্দিন আহমদ বলেন, দেশের এই সংকটে যোগ্য নেতৃত্বের ডালি সাজিয়ে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। সকল মামলা নির্যাতন প্রতিরোধ করে যুবশক্তির প্রতীক হিসেবে তাকে এদেশের দায়িত্ব নিতে হবে।