ইংল্যান্ডের সূচী
২ জুন: বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল ঘোষণা
৪ জুন: ইংল্যান্ড-ইকুয়েডর, মায়ামি (প্রীতি ম্যাচ)
৭ জুন: ইংল্যান্ড-হন্ডুরাস, মায়ামি (প্রীতি ম্যাচ)
১৪ জুন: ইংল্যান্ড ইতালি, মানাউস (বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ)
১৯ জুন: ইংল্যান্ড-উরুগুয়ে, সাও পাওলো (দ্বিতীয় ম্যাচ)
২৪ জুন: ইংল্যান্ড-কোস্টারিকা, বেলা হরাইজোন্তো (তৃতীয় ম্যাচ)
ইংল্যান্ড অধিনায়ক স্টিফেন জেরার্ড বলেছেন, ইতালির বিরুদ্ধে ১৪ জুন বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সেরা রূপেই দেখা দেবে ইংল্যান্ড। ড্যানিয়েল স্টারিজ, গ্যারি কাহিল এবং ফিল জ্যাজিয়েলকার গোলে বিশ্বকাপের আগে দেশের মাটিতে সর্বশেষ প্রীতি ম্যাচে পেরুকে ৩-০ গোলে হারানোর পরই জেরার্ডের এই আত্মবিশ্বাসী প্রতিক্রিয়া। এদিকে ব্রাজিল যাত্রার আগে ইকুয়েডর ও হন্ডুরাসের বিরুদ্ধে আরো দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে আগামীকাল মায়ামির উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ছে দলটি।
প্রতি বিশ্বকাপের আগেই বিশ্বকাপের আট গ্রুপের একটিকে 'গ্রুপ অফ ডেথ' বা বিপজ্জনক গ্রুপ হিসাবে বেছে নেয়ার রীতিটা বেশ পুরনো। এবার সেই গ্রুপের তকমা জুটেছে 'ডি' গ্রুপের। কারণ তুলনামূলক বিচারে দুর্বল কোস্টারিকার পাশাপাশি সেখানে লড়বে ইংল্যান্ড, ইতালি এবং উরুগুয়েও। কোস্টারিকাকে বাদ দিয়ে সেখানে বাকি তিনটি দলের আছে সাতটি বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড। সুতরাং নকআউট পর্ব নিশ্চিত করতে কঠিন এক পথই পাড়ি দিতে হবে ইংল্যান্ডকে। তবে জেরার্ডের বিশ্বাস ইতালির বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযাত্রা শুরু করতে যাওয়া তার দল, এর আগেই ফিরবে নিজেদের সেরা ফর্মে। মৌসুমের বেশিরভাগ সময় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকেও শেষ পর্যন্ত ইংলিশ লিগ শিরোপা জিততে না পারা লিভারপুল অধিনায়ক বলেন, 'সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা দশ দিনের মধ্যে নিজেদের পুরোপুরি ফিরে পেতে প্রস্তুত। ইতালির বিরুদ্ধে ম্যাচটির দিকে আমরা সবাই তাকিয়ে আছি। আমরা আশাবাদী এই ম্যাচে আমরা নিজেদের সর্বস্ব ঢেলে দিতে পারবো এবং সেই বাধা টপকাতে পারবো।'
ইতালির বিরুদ্ধে হেরেই ইউরোর ২০১২ আসর থেকে বিদায় নেয়া ইংল্যান্ড ব্রাজিলের আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নিতে এরই মধ্যে নিয়েছে বিশেষ প্রস্তুতিও। ইতালির বিরুদ্ধে ম্যাচের ভেন্যু ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মানাউসের তীব্র উত্তাপ এবং আর্দ্রতার সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে গত দুই সপ্তাহ পর্তুগালে অনুশীলন করেছে তারা। দুই জায়গার আবহাওয়া প্রায় একই রকম।
আর বিশেষ এই প্রস্তুতির পর চিলির বিরুদ্ধে পাওয়া জয়ে প্রস্তুতিকে সফলই বলছেন কোচ রয় হজসন। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপের আগে নিজেদের সর্বশেষ প্রীতি ম্যাচে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৪২তম অবস্থানে থাকা দলের বিরুদ্ধে জয়ের পর হজসন বলেন, 'প্রথমার্ধে আমাদের পাসিংয়ের ক্ষেত্রে আরেকটু গতিশীল হবার সুযোগ ছিল। তবে সব মিলে আমি বলবো দুই সপ্তাহের প্রস্তুতির পর নিখুঁত একটা কাজের মাধ্যমেই শেষ করেছি আমরা।' এদিকে এই ম্যাচের মাধ্যমেই একমাস পরে আবার মাঠে ফিরেছেন হজসনের প্রধান আক্রমণ অস্ত্র ওয়েইন রুনি। যদিও ৬৫ মিনিটে রুনিকে তুলে নেন তিনি। তবে বিশ্বকাপের আগে হন্ডুরাস এবং ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে ম্যাচ দুটির মাধ্যমে রুনি নিজেকে পুরোপুরি ফিরে পাবেন বলে আশাবাদী এই ইংলিশ। তিনি বলেন, 'আমি তার আজকের পারফরম্যান্সে খুবই খুশি। তার বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই। মাঠে তার আচরণ এবং নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। সর্বোচ্চ পেশাদারী মনোভাবই দেখায় সে। তাছাড়া তার হাতে আরো দুটি সপ্তাহ সময় আছে।' বিবিসি।