ভারতের রাজ্যসভায় শক্তি বাড়াতে উন্নয়নকে হাতিয়ার করে মমতা ব্যানাজির বন্ধুত্ব চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে চাইছেন তামিলনাডুর জয়ললিতা এবং উড়িষ্যার নবীন পট্টনায়েককেও।
বিজেপি সূত্রে খবর, মোদী জানেন মমতা তার মন্ত্রিসভায় আসবেন না। এনডিএতেও যোগ দেবেন না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যে উন্নয়ন করতে চাইছেন, তা রাজ্যের সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয়। মমতা ব্যানার্জিও পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ চান। এই অবস্থায় তিনি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে চান মমতার দিকে।
দিল্লির রাজনৈতিক মহল সূত্রে খবর, উন্নয়নের প্রশ্নে মমতা, জয়ললিতা, নবীনদের কাছে টানার পিছনে মোদীর অন্য কৌশল রয়েছে। লোকসভায় বিজেপির অন্য কারও সমর্থনের প্রয়োজন নেই। কিন্তু রাজ্যসভায় বিজেপি সংখ্যালঘু। শরিকদের নিয়েও সংখ্যাগরিষ্ঠতার ধারেকাছে নেই তারা। ২০১৬ সালে রাজ্যসভায় এক-তৃতীয়াংশ সদস্য অবসর নেবেন। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ে বিধানসভায় ভালো ফলের কারণে তখন কিছু আসন বাড়তে পারে বিজেপির। কিন্তু তার এখনও দু'বছর বাকি।
কিন্তু আগামী দু'বছর সংসদে গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলো পাস করাতে বেগ পেতে হবে বিজেপিকে। রাজ্যসভার ২৪৫টি আসনের মধ্যে বিজেপির এমপি মাত্র ৪৬ জন। শরিকদের নিয়ে সংখ্যাটা কমবেশি ৬৫। অথচ কোনও বিল পাসের জন্য প্রয়োজন কমপক্ষে ১২৩ জনের সমর্থন।
রাজ্যসভায় তৃণমূলের ১২, জয়ললিতার ১০ এবং করুণানিধির ৪, উড়িষ্যার নবীনের ৬, উত্তরপ্রদেশের মায়াবতীর ১৪ এবং মুলায়মের ৯ সদস্য রয়েছে। করুণানিধির দল ডিএমকে, মুলায়মের সমাজবাদী দল কংগ্রেসের পক্ষে রয়েছে। বাকিরা কোনো জোটে নেই। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছে, রাজ্যসভায় অঙ্কের এই জটিলতা কাটাতে বন্ধুত্বের হাত বাড়ানোর পাশাপাশি জয়ললিতা বা নবীনের মতো নেতারা এনডিএ-তে আসতে চাইলে, নিতে চান নরেন্দ্র মোদী। তাতে দু'দল মিলিয়ে রাজ্যসভায় ১৭ এমপির সমর্থন পাবে এনডিএ।
তবে প্রধানমন্ত্রীর প্রধান লক্ষ্য একটাই। মমতা ব্যানার্জির বন্ধুত্ব পেয়ে রাজ্যসভায় বিল পাস করানোর ক্ষেত্রে নিশ্চিন্ত হওয়া। একই সঙ্গে কংগ্রেসকে দুর্বল করা এবং তিস্তা, স্থল সীমান্ত চুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা পাওয়া।
শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদকে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা স্বীকার করে এর দায়-দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। আপনি কি তার দাবিকে যৌক্তিক মনে করেন?