গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নে খাল খননে ব্যাপক সারা পড়েছে । এতে কৃষি বিপ্লবের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। চলতি মৌসুমে ডাকুয়া ইউনিয়নের জইয়ার খাল, ধাপাখালী খাল, দীঘির কোলা খাল ও দশ আনির খাল খনন করা হয়েছে। এতে প্রায় আড়াই হাজার একর জমিতে সেচ সুবিধা এবং অর্ধশতাধিক মত্স্যজীবী মাছ চাষ করে সাবলম্বী হওয়ার সুযোগ পাবে।
সূশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের ৩৫টি খালের অধিকাংশ মৃতপ্রায়। এগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় একদিকে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়, অন্যদিকে রবি মৌসুমে পানির অভাবে রবিশস্য চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না। অধিকাংশ খাল মাটি দিয়ে ভরাট করে প্রভাবশালীরা দখল করে রেখেছে। এগুলোর মধ্যে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ দশ আনির খাল, ১ দশমিক ৭৮০ কিলোমিটার দীঘির কোলা খাল, ৬ শত মিটার দীর্ঘ জইয়ার খাল ও ৭০০ মিটার দীর্ঘ ধোপাখালী খাল খনন করা হয়েছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা, মত্স্য বিভাগের অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও মুসলিম এইড ইউ কে 'র তত্ত্বাবধানে এসব খাল খনন করা হয়। এতে ছোট চত্রা, বড়চত্রা, পূর্ব আটখালী, পাড়ডাকুয়া গ্রামের প্রায় অড়াই হাজার একর জমিতে সেচ সুবিধা হবে এবং অর্ধশতাধিক মত্স্যজীবী মাছ চাষ করে সাবলম্বী হওয়ার সুযোগ পাবে। ইতিমধ্যে ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ খাল পুনঃখনন করা হয়েছে, অংশগ্রহণমূলক ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ সেক্টর প্রকল্পের আওতায় আগামী মৌসুমে মজুমদার খাল, দাসের খালসহ আরও ৮ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন করা হবে বলে ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন খান জানান। তিনি আরও বলেন, ডাকুয়া ইউনিয়নকে কৃষি এবং মত্স্য চাষে সাফল্য অর্জনের জন্য ইউনিয়নের সবকটি মরা খাল খনন করা হবে।