'দেশে ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, ডাল, পিঁয়াজসহ সকল নিত্যপণ্যের যথেষ্ট মওজুদ রয়েছে। তাই আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কোন কারণ নেই। '
গতকাল মঙ্গলবার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) উদ্যোগে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের আমদানি, মওজুদ, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ী নেতারা জোর দিয়ে এ কথা জানান।
ব্যবসায়ীরা বলেন, রমজানে নিত্যপণ্যের যে পরিমাণ চাহিদা তার চেয়ে বেশি মওজুদ রয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপণ্যের দাম এখন কমতির দিকে। তাই দাম বাড়ার কোন কারণ নেই। তবে পণ্য পরিবহনের সময় পুলিশের চাঁদাবাজির কারণে অনেক সময় দাম বেড়ে যায়। এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়। এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহ্মদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব আহমেদ। বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি হেলালউদ্দিন, মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা, বাবুবাজার বাদামতলী ও বাবুবাজার চাল আড়ত মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী নিজামউদ্দিন, মেঘনা গ্রুপের পরিচালক তানভীর মোস্তফা, খেজুর আমদানিকারক সিরাজুল ইসলাম, ফল আমদানিকারক সাধন চন্দ্র দাস, কাঁচামাল আড়ত্ মালিক সমিতির সভাপতি ইব্রাহিম মাস্টার, এস আলম গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার কাজী সালাহউদ্দিন, ট্যারিফ কমিশনের মেম্বার আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ।
বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, নিত্যপণ্যের যথেষ্ট মওজুদ থাকায় রমজানে দাম বাড়ার কোন কারণ নেই। তিনি ক্রেতাদের একসাথে বেশি পরিমাণ পণ্য না কেনার আহবান জানান।
মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা বলেন, শুধু মওজুদ থাকলেই হবে না। পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত থাকতে হবে। আর এটা করতে হবে মিল থেকে খুচরা সব পর্যায়েই। তাহলে পণ্যের দাম বাড়বে না।
তিনি বলেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা যখন মিলারদের কাছ থেকে পণ্য কেনেন তখন তাদের রশিদ দিতে হবে। তাহলে পণ্যের সঠিক ক্রয়মূল্য জানা যাবে।
খেজুর আমদানিকারক সিরাজুল ইসলাম বলেন, রমজানে খেজুরের চাহিদা ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টন। চাহিদা অনুযায়ী তা দেশে মওজুদ রয়েছে। তবে এবার ইরাকে খেজুর উত্পাদন কম হওয়াতে আমদানিতে খরচ বেশি পড়েছে। সাধারণ মানের খেজুর প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকার বেশি হবে না।
এস আলম গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার কাজী সালাহউদ্দিন বলেন, দেশে ভোজ্যতেল ও চিনির যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। তাই দাম বাড়ার কোন কারণ নেই।
এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরামউদ্দিন আহ্মদ রমজানে নিত্যপণ্যের সরবরাহ পরিস্থিতিসহ যেকোন বিষয় নিয়ে ব্যবসায়ীরা কোন সমস্যায় পড়লে তাকে জানাতে অনুরোধ জানান। তাত্ক্ষণিকভাবে তা সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে। এছাড়া চাঁদাবাজি রোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন।