পিরোজপুরে ২০টি পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলা,নারীদের শ্লীলতাহানি
পিরোজপুর অফিস
সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ধুলিয়ারী গ্রামে ২০টি পরিবারের ওপর হামলা, লুটপাট ও নারীদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার রাতে এ বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটে। পার্শ্ববর্তী টোনা এলাকার চান্দু খানের ছেলে আমীন খান ওরফে ইয়াবা আমীন ও তার সঙ্গীদের রাতভর এ তান্ডবে এক শিশুসহ ৪ জন আহত হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ মালেক নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে।
এলাকাবাসী জানায়, রবিবার রাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমিন খানের নেতৃত্বে কালাম সেখ, দুলাল সেখ, সিরাজুল, মিরাজুল, সান্টু সেখসহ ১৫/২০ জনের একটি সশস্ত্র দল আবুল কালাম শেখের বাড়িসহ আশপাশের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তারা বাড়ির বেড়ায় আগুন দিয়ে এবং পটকা ফাটিয়ে প্রথমে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে তারা ঘরে ঢুকে লুট করে মালামাল। এরপর তারা ঐ গ্রামের সোবাহান সেখসহ আশেপাশের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়ির লোকজনকে মারধর, মালামাল লুটপাট ও নারীদের উপর নির্যাতন চালায়। এসময় তারা শাশুড়ির সামনে বউ, মা বাবার সামনে মেয়ের উপর নির্যাতন চালায় বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। জানা গেছে, আমীনের বাড়ি টোনা ইউনিয়নের তেজদাসকাঠি গ্রামে। আমিন মাদকসহ পুলিশের হাতে বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হয়েছে। তবে ধরা পড়ার পর কয়েকদিনের মধ্যেই সে জেল থেকে বের হয়ে যায়। ফলে এখন তার বিরুদ্ধে লোকজন মামলা দিতেও ভয় পায়। পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, খবর পেয়ে রাতে্ই পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। হামলাকারীদের গ্রেফতারের জন্য সোমবার সকাল থেকে পুলিশ এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। তিনি জানান, মহিলাদের ওপর এমন নির্যাতন সত্যিই অমানবিক। এদিকে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশের দুইটি টিম সন্ত্রাসী আমীনের দুই সহযোগী রিয়াজুল ও সিরাজুলের পিতা আব্দুল মালেককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।